ঈদুল আজহার সময় নৌপথে যাত্রীদের নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটগুলোতে বিশেষ টহল ও নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলা, নোয়াখালীর হাতিয়া এবং বরিশালের বিভিন্ন রুটে এ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ২৩টি দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায় মোট ১৩৫টি লঞ্চ ২৪ ঘণ্টা চলাচল করছে, যা ঈদে ঘরমুখো হাজারো যাত্রী বহন করছে।
ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক মোবারক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ভোলার মনপুরাগামী এমভি ফারহান-৩ লঞ্চের সিঁড়ি থেকে ছয়জন যাত্রীর মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন—বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয় নৌকার মাঝিরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে তিন শিশু, এক নারী এবং দুই কিশোর রয়েছে। তারা ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মনপুরা যাচ্ছিলেন।
মোবারক হোসেন আরও জানান, ঈদযাত্রায় চাঁদপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, হাতিয়া ও সন্দ্বীপ রুটে যাত্রীচাপ বেশি থাকায় প্রতিদিন ১৩৫ থেকে ১৪৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পন্টুন নং ১৩-এ এক ব্রিফিংয়ে নৌবাহিনীর কমান্ডার হারুন-অর-রশিদ বলেন, নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে দেশের প্রধান লঞ্চ টার্মিনাল, ফেরিঘাট এবং নৌপথে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নদী ও উপকূলীয় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত কোস্ট গার্ড এবার চারটি অঞ্চলে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে—ঢাকা, ভোলা, চট্টগ্রাম ও মোংলা।
তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও নৌযান তল্লাশি, যাত্রীদের ব্যাগ স্ক্যানিং, মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং লিফলেট বিতরণ করছেন।
বিশেষ নজর থাকছে ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-ভোলা রুট ও বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, গজারিয়া ও মেঘনা নদীতে চলাচলকারী লঞ্চগুলোর ওপর।
এছাড়া চট্টগ্রামের সদরঘাট, কর্ণফুলী, কক্সবাজারের ঘাট নং ৬ ও বড়ঘোপ, খুলনার রূপসা, কয়রা, শরনখোলা, মংলার কৈখালী এবং ভোলার ইলিশা ও ভেদুরিয়া এবং বরিশালের ডিসি লঞ্চ টার্মিনালে নিয়মিত টহল চলছে।
কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, যেকোনো দুর্ঘটনা কিংবা নাশকতা প্রতিরোধে তাদের সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ঈদের পরেও যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে এই বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।