ঈদুল ফিতরে নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে ৮ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বালুবাহী নৌযান চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ)।
এছাড়াও সব ধরনের অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
তারা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর (ডিওএস), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
নৌপথে দুর্ঘটনা রোধে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
এছাড়াও বিবৃতিতে মাস্টার ও চালকদের (নাবিক) কাছে যথাযথ কাগজপত্র না পাওয়া গেলে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি অবৈধ নিয়োগের জন্য জাহাজ মালিকদের জবাবদিহি করতে আহ্বান জানানো হয়।
ঘন ঘন নৌ-দুর্ঘটনা এবং বাল্কহেডের ধাক্কায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী নৌযান ডুবে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচলে বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বরাত দিয়ে এসসিআরএফ নেতারা বলেন, নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা ১৫ হাজার হলেও সারাদেশে অন্তত বিভিন্ন ধরনের ৮৫ হাজার নৌযান রয়েছে।
এর মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার নৌযান অবৈধভাবে চলাচল করছে, যার মধ্যে বাল্কহেডের সংখ্যা অন্তত ৬ হাজার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৫ হাজার নিবন্ধিত নৌকার মধ্যে নিয়মিত বার্ষিক জরিপ (ফিটনেস টেস্ট) করা হয় মাত্র ৮ হাজারের জন্য।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাকি ৭ হাজার ফিটনেসবিহীন নৌকা চলাচল করছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না।
বিবৃতিতে হাজার হাজার ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য ৭ দিনের বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ।