বৃহস্পতিবার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্যে টানা তৃতীয় দিনের মতো ইতিবাচক অবস্থায় শেষ হয়েছে লেনদেন।
বৃহস্পতিবারের কার্যদিবসে প্রথমে ডিএসইর সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এর দুই ঘণ্টা পর সামান্য পতন হয়। তবে দুপুর ১টার দিকে সূচক আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৬ বার লেনদেনে ২৩ কোটি ১৯ লাখ শেয়ার ও ইউনিটের হাতবদল হয়েছে। এদিন মোট ৫৫৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বুধবার এর পরিমাণ ছিল ৫১৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ৪ দিন দরপতনের পর ৩১২ কোম্পানির শেয়ারমূল্য বেড়েছে
বৃহস্পতিবারের লেনদেনে মোট ৩৯৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ১৫১টির শেয়ার কমেছে এবং ৩৪টি অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৪.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫১৯৯.৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস সূচক ৮.৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ১১৪৪.৯০ পয়েন্টে এবং ব্লু-চিপ শেয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক ১০.১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৯২৬.০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে, যেখানে সিএএসপিআই সূচক ০.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৪,৪৪২.০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসই-তে ৫১.৬১ লাখ শেয়ার ও ইউনিট ১,৮৩৩টি লেনদেনের মাধ্যমে হাতবদল হয়েছে। মোট ২০৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৩৩টির দাম বেড়েছে, ৫৯টির কমেছে এবং ১৬টি অপরিবর্তিত ছিল।
এদিনে সিএসইতে ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ছিল ৬৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী সূচকে লেনদেন, দর বেড়েছে ৩৭৩ কোম্পানির