বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে 'উন্নত, স্বচ্ছ ও আরও জবাবদিহিমূলক' বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শাহাব এনাম খান।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সম্পর্ক সুশাসনের আঞ্চলিক মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।
বুধবার (১৫ মে) ঢাকায় চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে এ বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক খান বলেন, 'এই সম্পর্ক অনন্য ও সমৃদ্ধির রোল মডেল হয়ে উঠুক।’
বাংলাদেশের প্রশংসনীয় প্রবৃদ্ধি জোরদার এবং বৈশ্বিক রীতিনীতি ও মান মেনে বৃহত্তর অঞ্চলে ইতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের সম্ভাবনা তুলে ধরেন তিনি।
বৈশ্বিক শক্তি এবং তাদের বিভিন্ন স্বার্থ যাচাই করে চীনের প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার আহ্বান জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক খান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মূল্যবোধের উল্লেখ করে এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।
আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বৃহত্তর স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
'কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মূল আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন, একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া' শীর্ষক এই সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশও এক চীন নীতি সমুন্নত রাখবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় 'তাইওয়ানের স্বাধীনতা'র বিরোধিতা এবং জাতীয় পুনরেকত্রীকরণের প্রচেষ্টায় চীনা জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি উপলব্ধি ও সমর্থন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা এক চীন এবং তাইওয়ান চীনের অংশ। এটি ইতিহাস ও আইন সমর্থিত একটি অকাট্য সত্য। তাইওয়ান কখনোই রাষ্ট্র ছিল না; চীনের অংশ হিসেবে এর অবস্থান অপরিবর্তনীয়।’
জনগণের সঙ্গে জনগণের গভীর সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশে বৃহত্তর যোগাযোগ এবং চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান জানান অর্থনীতিবিদ ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞদের আয়োজিত এই সিম্পোজিয়ামে আরও ছিলেন মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, শাব্বির আহমদ চৌধুরী এবং মাহবুব উজ জামান।