চিকিৎসক ও কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে এক সপ্তাহ পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ আংশিকভাবে চালু করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকে হাসপাতালটির জরুরি সেবা কার্যক্রম চালু হয়।
হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম ইউএনবিকে জানান, আজ সকাল ৮টা থেকে জরুরি সেবা চালু করা হয়েছে।
তবে কবে নাগাদ বহির্বিভাগ ও আবাসিক চিকিৎসা সেবা সম্পূর্ণরূপে চালু হবে, তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘রোগীদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব করতে আমরা সীমিত পরিসরে জরুরি বিভাগ চালু করেছি। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ছুটিতে শুধু জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।’
গত বুধবার (২৮ মে) চিকিৎসা সংক্রান্ত ত্রুটি হচ্ছে— এই অভিযোগে হাসপাতালটির চিকিৎসক ও স্টাফদের হামলা করে জুলাই আন্দোলনের আহতরা। এতে চিকিৎসকসহ প্রায় ১৫ জন স্টাফ আহত হন। এরপরই ন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেলে বন্ধ হয়ে যায় সেবা কার্যক্রম।
এর আগে, গত রবিবার (২৫ মে) চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার জুলাইযোদ্ধা বিষপান করেন। তাদের অভিযোগ— উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করেন আহতরা। একঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকার পর হাসপাতাল সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর বুধবার সকাল থেকে, নিরাপত্তার দাবি তুলে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতালের কর্মচারীরা। এরপরেই, হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জুলাই আন্দোলনে আহতরা।