এর মধ্যে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬,০১৪.৬২ কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ‘একনেকের আজকের সভায় প্রায় ১৩ হাজার ৬৩৯ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়ের ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
মোট ব্যয়ের মধ্যে ৮,৮৮৬.৪৪ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে আসবে। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে ২৯৩.১৬ কোটি টাকা এবং বাকি ৪,৪৫৯.৪১ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে।
সভায় অনুমোদিত নয়টি প্রকল্পই নতুন বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তিনটি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একটি করে প্রকল্প রয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘নোয়াখালী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাজী কামাল উদ্দীন সড়ক (বেগমগঞ্জের গ্লোব ফ্যাক্টরী হতে কবিরহাটের ফলাহারী পর্যন্ত) (জেড-১৪৫৩) উন্নয়ন’ প্রকল্প; ‘আনোয়ারা উপজেলা সংযোগ সড়কসহ কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়ককে ৪-লেনে উন্নতীকরণ (শিকলবাহা-আনোয়ারা সড়ক)’ প্রকল্প; এবং ‘শরীয়পুর-জাজিরা-নাওডোবা (পদ্মা সেতু এপ্রোচ) সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘পাটুরিয়া এবং দৌলতদিয়ায় আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নদীবন্দর আধুনিকায়ন’ প্রকল্প; এবং ‘মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থানাসমূহ নদী ভাঙন হতে রক্ষা’ প্রকল্প; এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্প; ‘হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থাপনাসমূহ নদী ভাঙন হতে রক্ষা’ প্রকল্প।