প্রকল্প অনুমোদন
দেশ ও জনগণের কল্যাণে আসে না এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেব না: প্রধানমন্ত্রী
দেশ ও জনগণের কোনো কল্যাণে আসবে না এমন অপ্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্প তিনি অনুমোদন দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘শুধু নির্মাণের জন্য কোনো নির্মাণ করবেন না। এটা আমার অনুরোধ। অপ্রয়োজনীয় কোনো প্রকল্প দেখলে অনুমোদন দেব না। আমি এরই মধ্যে একনেকে বিষয়টি পরিষ্কার করেছি।’
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
শনিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় সবার আগে যে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হয় তা হলো দেশ ও জনগণ এ থেকে কীভাবে লাভবান হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যেকোনো প্রকল্প থেকে কী ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে সে বিষয় আমাদের দেখতে হবে। জনগণ কতটুকু উপকৃত হবে, এর থেকে কী কী পাওয়া যাবে এবং প্রকল্পটি দেশের কাজে লাগবে কি না। এসব হিসাব-নিকাশ আমাদের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সেভাবে পরিকল্পনা করতে হবে এবং আমি এটি আপনাদের কাছ থেকে চাই।’
যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশের ওপর এর প্রভাব, স্থায়িত্ব ও ব্যয় সাশ্রয়ী বিবেচনা করতে প্রকৌশলীদের অনুরোধ জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনাদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, পরিকল্পনা যাই হোক না কেন তা পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে।’
তিনি বলেন, পরিবেশের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চালিকাশক্তি প্রকৌশলীরা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'এটাই আমাদের লক্ষ্য এবং এটা করতে হবে। প্রতি মুহূর্তে আমাদের খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলা করতে হবে, এটা মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী হাওর, বিল ও পুকুরের মতো জলাশয় ভরাটের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা না নিতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করব। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল করবে এবং এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে জাহাজ চলাচল করবে।’
বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং শুষ্ক মৌসুমে তা ব্যবহার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'এজন্য আমাদের জলাধারগুলো ভরাট করলে চলবে না, রক্ষা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ এবং এএমআইই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ গ্র্যাজুয়েটদের স্বর্ণপদক ও সনদপত্রসহ বিভিন্ন পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন এবং আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে আইইবির ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে থিম সংয়ের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের অবদান শীর্ষক একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা পরিবেশ পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সমবায়ে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
৭ মাস আগে
একনেকে ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬,৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার ৪৮টি জেলার ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকার একটিসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়নের সড়ক এবং তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে ৮ হাজার ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও তিনটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: একনেকে ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আজ মোট ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা (এখানে আটটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় গণনা করা হয়েছে)।’
মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাকি ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে।
ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে বড় নতুন প্রকল্প হচ্ছে ৬ হাজার ৩৪৫ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ইমপ্রুভমেন্ট আরবান গভর্নেন্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট (আইইউজিআইপি), যা ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
পরিকল্পিত, সমন্বিত ও টেকসই নগরায়ন ও সুশাসনের অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আট বিভাগের ৪৮টি জেলার ৮৭টি উপজেলার ৮৮টি পৌরসভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: একনেকে ১২ প্রকল্পের অনুমোদন
দুই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়নের সড়ক এবং তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামোর জন্য পরিকল্পিত তিনটি নতুন প্রকল্প হলো- চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ, যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১১০ কোটি টাকা (২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে); ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ (২০২৮ সালের মার্চের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে) এবং নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা (যা ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে)।
এছাড়া শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ (নিট) নেই এমন তরুণদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে 'ইকোনমিক এক্সেলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর নিট (আর্ন)' শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বিকল্প শিক্ষা ও সংশ্লিষ্ট দক্ষতার সুযোগ বৃদ্ধি এবং তাদের উপার্জন নিশ্চিত করা। এছাড়া আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, তাদের কাজে যোগদানের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রকল্প পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৩,৬৫৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
১ বছর আগে
একনেকে ৪২৫২.৬৬ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মোট চার হাজার ২৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৬৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে এবং প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে বাকি ৬০৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, অনুমোদিত ১১টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন এবং পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- ২৪৬ কোটি টাকায় ঢাকা সিএমএইচ (২য় পর্যায়) ক্যান্সার সেন্টার স্থাপন, ঢাকা সংলগ্ন ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে প্রথম সংশোধিত মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ কর্মসূচি, তৃতীয় সংশোধিত কোনো অতিরিক্ত খরচ ছাড়া।
আরও পড়ুন: একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা টাওয়ার নির্মাণ, ৩য় ধাপ, ১৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে ১ম সংশোধিত, সারা বছর ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন, ২য় পর্যায় ২১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে সংশোধিত এবং ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্গঠনে জরুরি সহায়তা প্রকল্প।
বাকি প্রকল্পগুলো হলো- এক হাজার ১২৫ কোটি টাকায় জামালপুর জেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাংলাদেশে ১৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকায় ওয়াশ সেক্টর স্ট্রেংথেনিং অ্যান্ড স্যানিটেশন মার্কেট সিস্টেম (সানমার্কস) উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীল টেকসই পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রকল্প। ২৭৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দর চ্যানেলের ভিতরের বারে ড্রেজিং, ১৯৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে প্রথম সংশোধিত এবং এক হাজার ৫৩২ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে ৪ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
১ বছর আগে
একনেকে ১০ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকার ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে ৬ হাজার ১৭৯ কোটি টাকার প্রকল্পসহ ১০ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকার ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বৈঠকে যোগ দেন।
সভায় ছয়টি নতুন প্রকল্প এবং চারটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১০টি প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় ১০ হাজার ৮৮৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা (সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয়সহ)।
তিনি জানান, মোট ব্যয়ের মধ্যে পাঁচ হাজার ১৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে সরকারের তহবিল থেকে, ৭৫৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা আসবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে এবং বাকি ৪ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
ব্যয়ের দিক থেকে তিনটি বৃহত্তম নতুন প্রকল্প হলো- বিআরইবি নেটওয়ার্কের (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ) আধুনিকীকরণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প যার আনুমানিক ব্যয় ছয় হাজার ১৭৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) এক হাজার ৮৬৭ কোটি আট লাখ টাকার প্রকল্প এবং মর্ডানাইজেশন অব পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন-স্মার্ট গ্রিডস ফেজ ১ প্রকল্প যার ব্যয় এক হাজার ৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
পড়ুন: একনেকে ২ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন
বাকি তিনটি নতুন প্রকল্প হলো সাতশ এক কোটি ৫৩ লাখ টাকায় কিশোরগঞ্জ সড়ক বিভাগ প্রকল্পের আওতায় গৌরীপুর-আনন্দগঞ্জ-মধুপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-হোসেনপুর জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প, মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা-জলসুখা-আজমী হাইওয়ে প্রকল্পের সঙ্গে মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-এর দিরাই-শাল্লা অংশ পুনর্নির্মাণ প্রকল্প ছয়শ ২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কর্মসূচি (৬ষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্প যার ব্যয় ৩৬৫ কোটি টাকা।
চারটি সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নলকা-সিরাজগঞ্জ-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ শহর অংশ (শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ থেকে ওয়াপদা জংশন পর্যন্ত) চার লেনে উন্নীতকরণ এবং অবশিষ্ট অংশকে দুই লেনে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত), বগুড়া শহর থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (এন-৫১৯) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, বরিশাল-দিনারেরপুল-লক্ষ্মীপাশা-দুমকী জেলা মহাসড়কের ১৪তম কিলোমিটারে রাঙামাটি নদীর ওপর গোমা সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি (সংশোধিত ৪৬টি) উপজেলা সদর/স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয় ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: একনেকে ৫ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন
২ বছর আগে
১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক
গাজীপুর ও কুমিল্লা শহরের পাশাপাশি কক্সবাজার পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিন হাজার ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পসহ ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন। নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয়সহ মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে (শুধুমাত্র সংশোধিত প্রকল্পগুলোর অতিরিক্ত ব্যয়)।
আরও পড়ুন: একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
তিনি জানান, ব্যয়ের মধ্যে সাত হাজার ৯৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে এবং ৫৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি তিন হাজার ৪৩২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বৈদেশিক ঋণ হিসাবে বিদেশি উৎস থেকে আসবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান,এর মধ্যে ১০টি নতুন প্রকল্প এবং বাকি দুটি সংশোধিত প্রকল্প।
প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্ন্যান্স (ইউডিসিজি)’ প্রকল্পটি গাজীপুর ও কুমিল্লা শহর এবং কক্সবাজার পৌরসভায় ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: একনেক সভায় অনুমোদন পেলো দক্ষিণ সিটির ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপন প্রকল্প
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ তিন হাজার ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্পে ঋণ হিসেবে দুই হাজার ২১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা দিবে। বাকি এক হাজার ১৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে আসবে।
মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সেতু নির্মাণ, দুটি ওভারপাস, একটি ফ্লাইওভার, ৩২টি বক্স কালভার্ট, ৪৩টি পাইপ কালভার্ট, পাঁচ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল, ৩৭.৬ কিলোমিটার পানির ড্রেন, সাতটি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট (ল্যান্ডফিলিং স্টেশন সহ), নয়টি গভীর নলকূপ এবং জল সরবরাহ ব্যবস্থা, দুই দশমিক ২০ কিমি ওয়াকওয়ে, পাঁচ হাজার বর্গ কি.মি খেলার মাঠ এবং তিনটি বাস টার্মিনালের পাশাপাশি ১৩০ কি.মি রাস্তার আলো স্থাপন।
২ বছর আগে
ইলিশের উন্নয়নে ২৪৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার দেশে ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পসহ এক হাজার ২৬৬ কোটি টাকার মোট পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
৪ বছর আগে
একনেক সভায় ৩০৭৫ কোটি টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার খুলনা শহরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের জন্য ২ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকাসহ ৩ হাজার ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
৪ বছর আগে
একনেক সভায় ২৭৪৪ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয়সহ সোমবার প্রায় দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
৪ বছর আগে
গ্রামীণ উন্নয়নে সংসদ সদস্যরা পাচ্ছেন ৬৪৭৭ কোটি টাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) রবিবার ৯ হাজার ৪৬০ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। যার মধ্যে স্থানীয় এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৬৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারবেন সংসদ সদস্যরা।
৪ বছর আগে
একনেকে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) মঙ্গলবার ১৩ হাজার ৬৩৯ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যয়ের ৯টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
৪ বছর আগে