বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সকাল ৮টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান এর জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার। তাকে গত ১৬ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ঝিনাইদহের শৈলকূপার সন্তান রবিউল হুসাইনের জন্ম ১৯৪৩ সালে। কুষ্টিয়ায় মেট্রিক আর ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে তিনি ভর্তি হন ইস্ট পাকিস্তান ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির (বর্তমান বুয়েট) আর্কিটেকচার ফ্যাকাল্টিতে।
রবিউল ছাত্রজীবন থেকেই বাংলা কবিতা চর্চা করেন এবং কাব্য জার্নাল প্রকাশ করেন। তিনি ২৫ টিরও বেশি কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও শিশু বই লিখেছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদান রাখায় রবিউল হুসাইনকে ২০১৮ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
একুশে পদক ছাড়াও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ও সার্চ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তি ও স্বাধীনতা তোরণ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট, ভাসানি হল, বঙ্গবন্ধু হল, শেখ হাসিনা হল অসংখ্য ভবন কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে রবিউল হুসাইনের নকশায়।
বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য রবিউল শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি কাচার মেলা, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটেও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের ট্রাস্টি স্থপতি রবিউল হুসাইনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।