কবি
কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদের ওপর হামলা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্বভাবকবি খ্যাত রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়ে তিনি নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে কবির নিজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা: ৯ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল
এই ঘটনায় কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে রবিবার (১ অক্টোবর) রাতে নাগেশ্বরী থানায় মামলা করেন।
মামলায় কদু রহমান (৪৫) ও তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামকে (৩৮) আসামি করা হয়। তারা একই ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। হামলার করার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবি রাধাপদ রায় বলেন, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে আমার বাড়ির পশ্চিমে ডুবুরির ব্রিজের পাশে রফিকুল নামে এক যুবক আমার ওপর হঠাৎ হামলা করে। হামলায় আমার পিঠে ও ঘাড়ে অনেক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
হামলার প্রসঙ্গে স্বভাবকবি বলেন, আমি জানি না কেন সে আমার ওপর হামলা করেছে। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছয় মাস আগে আমার তর্কাতর্কি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা এখনও পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় রফিকুলের স্ত্রী, শ্যালক ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ সেনা আহত
১ বছর আগে
রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
রবিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে জাতি।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলা সাহিত্যে তার অসামান্য অবদানের জন্য অগ্রগামী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মহান কবির ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান তার জীবন ও কর্ম স্মরণে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সোয়া ৬টায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলা ভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলায় জড়ো হবেন।
সেখান থেকে মৌন মিছিল শুরু হয়ে কবির সমাধিতে যাবে। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন তারা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও সকাল ৭টায় নজরুলের কবরস্থানে শোভাযাত্রা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কবির সমাধিতে সমবেত হবে।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির নিজস্ব মিলনায়তনে বিশেষ সাংস্কৃতিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অনুষ্ঠানটি একই সঙ্গে তার ফেসবুক গ্রুপ এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতারসহ রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো জাতীয় কবির জীবন ও কর্মের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: স্মরণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ ছাড়া নজরুল তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে তার বিপ্লবী এবং দর্শনীয় সাহিত্যকর্মের জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, নজরুলের ২১ বছরের সাহিত্যিক জীবনে তিনি ২ হাজার ৬০০টি গান, ৬০০টি কবিতা, ৩টি বই এবং ৪৩টি প্রবন্ধ তৈরি করেছিলেন।
শৈশবে বাবা মারা গেলে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয় নজরুলকে। এ কারণে মসজিদে তত্ত্বাবধায়ক ও মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল তাকে। পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ায় একটি পেশাদার ‘লেটো’ গানের দলে কাজ করার জন্য ৯ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছিলেন তিনি।
দলটির সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন। এক বছর পরে তিনি আবার স্কুলে যান এবং মাথারুন ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু তার আর্থিক দুরবস্থার কারণে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে আরও একবার বাদ পড়েন।
কিছু সময় পর পুলিশ অফিসার কাজী রফিজুল্লাহ তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে তার বাড়ির কাছে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করান।
১৯৭১ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে তার সামরিক চাকরি শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যে নজরুল তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন।
তিনি ১৯২১ সালে তার কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ (দ্য রিবেল) লেখেন এবং ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ (দ্য ধূমকেতু) একটি মাসিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন।
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঘন ঘন জাতীয়তাবাদী জড়িত থাকার কারণে নজরুল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়েন। তিনি কারাবন্দি থাকা অবস্থায় ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (একজন রাজনৈতিক বন্দির জবানবন্দি) লেখেন।
তার কাজগুলো পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তার কবিতাগুলো অনেক বাঙালি ও জাতীয়তাবাদীকে পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
স্বাধীনতা, মানবতা, প্রেম ও বিপ্লব নজরুলের অসাধারণ সাহিত্য বার বার এসেছে। তিনি মৌলবাদ ও সব ধরনের বর্ণ, লিঙ্গ ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিলেন।
নজরুল ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধও প্রকাশ করেছেন। যদিও তার গান ও কবিতা সমালোচকদের কাছ থেকে সর্বাধিক প্রশংসা পেয়েছে। তিনি তার লেখায় আরবি ও ফারসি শব্দের উদার ব্যবহার এবং বাংলা গজল সুর জনপ্রিয় করার জন্য বিখ্যাত।
তিনি ‘নজরুল গীতি’ নামে পরিচিত তার নিজস্ব সংগীত ধারা আবিষ্কার করেছিলেন। যার মধ্যে অনেকগুলো ভিনাইল ও এইচএমভি রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।
নজরুল যখন ৪৩ বছর বয়সে একটি অজ্ঞাত রোগে ভুগছিলেন এবং ১৯৪২ সালে তিনি তার কণ্ঠস্বর এবং স্মৃতিশক্তি হারাতে শুরু করেন।
ভিয়েনার একটি মেডিকেল টিম বলে তার রোগটি ছিল ‘পিকস ডিজিজ’। একটি বিরল ও মারাত্মক নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ।
বাংলাদেশ সরকার এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে নজরুলের পরিবার বাংলাদেশে চলে আসেন এবং ১৯৭২ সালে ঢাকায় স্থায়ী হন। একই বছর বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘জাতীয় কবি’ খেতাবে ভূষিত করেন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তার অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট বিদ্রোহী কবি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
১ বছর আগে
কবি মোহাম্মদ রফিক আর নেই
একুশে পদক বিজয়ী কবি ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রফিক রবিবার (৬ আগস্ট) রাতে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
সোমবার (৭ আগস্ট) বাগেরহাটে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করার কথা রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কবি বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকায় আনার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তারা গণমাধ্যমকে জানান, তিন দিন আগে রফিক নিজ বাড়ি বাগেরহাটে যান। রবিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে বরিশাল শহরের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কবি মোহাম্মদ রফিক ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরাতা ইউনিয়নের বাইতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর তিনি ঢাকার নটরডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তবে, তিনি তারপর ঢাকা কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হন।
সেখানে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। এটি তার সাহিত্যিক চেতনায় গভীর ছাপ ফেলে।
আরও পড়ুন: কবি মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ঢাকা কলেজের পর রফিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক হন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ১ নম্বর সেক্টরে এবং পরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেন এবং তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেন।
স্বাধীনতার পর রফিক প্রথমে কলেজ শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি বিভাগে যোগদান করেন।
তিনি তার কবিতার মাধ্যমে সমাজের নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে তার রচিত ‘খোলা কবিতা’ শিরোনামের একটি কবিতা ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ধুলোর সংসারে এই মাটি’, ‘কীর্তিনাশা’, ‘কপিলা’, ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’, ‘মৎস্যগন্ধা’, ‘বিশখালীর সন্ধ্যা’, ‘কালাপানি’ ও ‘ত্রয়ী’।
সাহিত্যে তার অসামান্য অবদানের জন্য কবি মোহাম্মদ রফিক ২০১০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
তার অন্যান্য স্বীকৃতি ও পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- বাংলা একাডেমি পুরস্কার, প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার এবং জেমকন সাহিত্য পুরস্কার।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়া মারা গেছেন
১ বছর আগে
সাম্পান যোগে কবিদের শান্তির বার্তা প্রেরণ
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে ২০টি সাম্পান যোগে দেড় শতাধিক কবির বার্তা পাঠানো হয়েছে। সাগর পাড়ি দিয়ে এই শান্তির বার্তা পৌঁছে যাবে বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়।
বার্তা পাঠে বলা হয়, মানুষ নতুন করে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। সংঘাত, হানা-হানি পরিহার করে নতুন এক শান্তির বিশ্ব বিনিমার্ণে মানুষ আবার সংগ্রামে নামবে।
এছাড়া যে বার্তা পাঠে মানুষ নতুন করে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে। একই সঙ্গে কক্সবাজার সৈকতের নাম শেখ হাসিনার শান্তির সৈকত ঘোষণা করা হয়।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টের সৈকতে দেশ-বিদেশের কবিরা একযোগে শান্তির বার্তাবাহী এসব সাম্পান ভাসিয়ে দেয়ার আগে এমন ঘোষণা দেন।
এসময় শেখ হাসিনার শান্তির সৈকত গান পরিবেশন করা হয়।
কক্সবাজারে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী দরিয়ানগর আন্তর্জাতিক কবিতা মেলা-২০২২ দ্বিতীয় দিন এমন কর্মসূচি পালন করেন কবিরা।
সকালে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি।
এরপর সাদা পতাকা হাতে কবিতার শান্তির যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত মাঠে এসে শেষ হয়।
ওখানে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা, কবিতা মেলার পতাকা ও রাইটার্স ক্লাবের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এরপর পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে শুরু হয় কবিতা পাঠ ও আলোচনা।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল
১ বছর আগে
পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি কৃষ্ণ ধর আর নেই
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি, সাংবাদিক ও লেখক কৃষ্ণ ধর আর নেই। বুধবার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর (১৯২৮-২০২২)। তিনি দুই মেয়ে ও তিন নাতিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কৃষ্ণ ধরের জন্ম ১৯২৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ শাসিত ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জের কমলপুর গ্রামে। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর এইচ ই হাই স্কুল থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফেনী কলেজ থেকে ১৯৪৫ সালে আইএ পাশ করে কলকাতায় চলে যান। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অর্থশাস্ত্রে স্নাতক হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৯ সালে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাশ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ক্যান্সার রোগী ১৫ লাখ, প্রতিবছর মারা যান দেড় লাখ
লেখাপড়া শেষ করে কলকাতার দেশবন্ধু গার্লস কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৫২ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকার সহকারী-সম্পাদক হন। পরে তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক বসুমতীর সম্পাদক ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। সাহিত্যকর্মে তার বিচরণ ছিল অতুলনীয়। বাংলা সাহিত্য নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সময়ই লেখালেখির হাতেখড়ি হয় তাঁর। এমএ পাশের আগেই ১৯৪৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অঙ্গীকার’ প্রকাশিত হয়। তারপর অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার সঙ্গে সমানভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। কবিতার পাশাপাশি কাব্যনাটক, ভ্রমণকাহিনী, সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা, নিজের ধারণা রচনাসম্ভারে ঠাঁই হয়। বিশ শতাব্দীর পাঁচ ও ছয়ের দশকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি-সাহিত্যিক ও সাংবাদিক ছিলেন কৃষ্ণ ধর।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতা ও কাব্যনাটক - 'অঙ্গীকার' (১৯৪৮), ‘প্রথম ধরেছে কলি' (১৯৫৬), 'এ জন্মের নায়ক' (১৯৬১), 'এক রাত্রির জন্য' (১৯৬৭)
সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- 'আধুনিক কবিতার উৎস' (১৯৬১), 'সাহিত্যের সাজঘর' (২০১৫)।
এছাড়া ভ্রমণকাহিনী নিয়ে তাঁর অন্যতম লেখা বই- 'মস্কো থেকে দেখা' (১৯৭৪), 'অন্য দেশ অন্য নগর' (১৯৮১)।
ইতিহাস নিয়ে লেখালেখিতেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন না। ইতিহাস নির্ভর তাঁর উল্লেখযোগ্য লেখা বই -'মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ' (১৯৭১), 'ভারতের মুক্তি সংগ্রামে বাঙালি' (১৯৯৭), 'কলকাতার তিন শতক' (১৯৮৯)।
সাংবাদিকতার অঙ্গনেও তিনি ছিলেন অগ্রপথিক। সাংবাদিকতার ওপর লিখেছেন বই। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - 'সাংবাদিকতার দর্শন: আদর্শ ও বিচ্যুতি' (২০০৩)।
জীবনের নানা কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন পুরস্কার, সম্মাননা। সাহিত্যচর্চার জন্য কবি কৃষ্ণ ধর বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবিকে নজরুল পুরস্কার প্রদান করে। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আট দশক সাতকাহন’ এর জন্য মোজাফফর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে প্রতিবছর স্তন ক্যান্সারে মারা যান ৭ হাজার নারী
দাফনের পর গোলাপি ফিরে বললেন তিনি মারা যাননি
২ বছর আগে
ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’তে (ডিআরইউ) সদস্যদের জন্য নির্মিত ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম’ লাইব্রেরি উদ্বোধন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
রবিবার ডিআরইউ-এর দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দুপুর ৩টায় ডিআরইউ’র নতুন ভবনে নির্মিত লাইব্রেরির ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লাইব্রেরি উদ্বোধনের পরে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ’কে উপহার হিসেবে অটোমেটিক হ্যান্ড সেনিটাইজেশন ডিসপেনসার দিলো ভারতীয় হাইকমিশন
২ বছর আগে
কবি, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই
সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই।শনিবার দুপুর ১২ টায় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে পটিয়ার ধলঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।কবি, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফাচট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, একজন গুণী সাংবাদিককে আমরা হারালাম। স্রষ্টার কাছে প্রয়াত দাদা মনির আত্মার সদগতি কামনা করছি।অরুণ দাশগুপ্ত দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের হাত ধরে ১৯৭৩ সালে পত্রিকাটিতে যোগ দেন । তিনি ছিলেন সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক। পত্রিকাটির সাহিত্য পাতা প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিবিড় তত্ত্বাবধানে।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি ধলঘাট গ্রামে অরুণ দাশগুপ্ত’র জন্ম। তিনি ওই গ্রামের জমিদার যশোদা নন্দন ওয়াদ্দেদার (দাশগুপ্ত) এর নাতি এবং অবিনাশ ওয়াদ্দেদারের ছেলে। কবিতা, চিত্রকলা, ছোটগল্প, সঙ্গীত ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণ। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার।
অরুণ দাশগুপ্ত রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলী ‘রবীন্দ্রনাথের ছয় ঋতুর গান ও অন্যান্য’, ‘নবীনচন্দ্র সেন’, ‘কবিতা চিন্তা ও অন্যান্য প্রবন্ধ’, কবিতার বই ‘খাণ্ডবদাহন’।পটিয়া ধলঘাট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। সেখানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেন তিনি। দেশমাতৃকার টানে ফিরে আসেন চট্টগ্রামে। ততদিনে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পথে। হাতছাড়া হয়ে গেছে বিপুল সম্পদ।এসময় মিরসরাইয়ের এক গ্রামে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি নিলেন শিক্ষকতার চাকরি। এরপর ফটিকছড়ির নারায়ণহাট স্কুলে। অবশেষে সব ছেড়ে আসেন সাংবাদিকতায়। এই প্রবীণ সাংবাদিক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিএফইউজে) সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন।
৩ বছর আগে
সুফিয়া কামালের ১১০ তম জন্মবার্ষিকী আজ
কবি ও নারীবাদী বেগম সুফিয়া কামালের আজ রবিবার ১১০ তম জন্মবার্ষিকী।
নারীবাদী, কবি, শিক্ষাবিদ হিসেবে শ্রদ্ধেয় সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের একটি অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তিনি ১৯৫০ দশকের বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অংশ নিয়ে এবং পরে নিজেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশীল সমাজের নেত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলো যথাযথ সম্মানের সাথে দিবসটি পালন করছে।
দিবসটির স্মরণে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ (বিএমপি) ও ছায়ানটসহ একাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন কবি ও কর্মীর স্মরণে বিশেষ কর্মসূচি পালন করছে।
যাই হোক করোনা মহামারির চলমান দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে উভয় সংস্থা ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠানগুলি পরিচালনা করে দিবসটি পালন করছে।
আরও পড়ুন: বেগম সুফিয়া কামালের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ (বিএমপি) তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বেলা ৩ টায় একটি বিশেষ অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ১১০ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণে অনুষ্ঠানটিতে অনলাইনে স্মরণীয় বক্তৃতা, কবি সুফিয়া কামাল পুরষ্কার প্রদান ও সংগীত পরিবেশনা উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিএমপির বর্তমান সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ অনুষ্ঠানে "সুফিয়া কামাল এবং বাংলাদেশের নারীবাদী আন্দোলন" শীর্ষক একটি স্মরণমূলক বক্তব্য দিবেন। এছাড়াও কবি সুফিয়া কামাল অ্যাওয়ার্ড -২০২০ (মরণোত্তর) সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ এবং কর্মী হিসাবে ভূষিত করা হবে নূরজাহান মুর্শিদকে ও কবি সুফিয়া কামাল পুরস্কার -২০১২ দেয়া হবে কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্টকে।
প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতির জন্মবার্ষিকী এবং বর্ষার প্রত্যাবর্তন উদযাপন করতে দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট প্রতিবছর একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যা গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কবি নজরুলের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
এ বছর ছায়ানট বর্ষার গান, কবিতা ও নৃত্যের সমন্বয়ে এবং বিশিষ্ট কবি, ছায়ানটের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুলতানা কামালের বিশেষ বক্তৃতার মাধ্যমে একটি বিশেষ অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
রবিবার রাত ৯ টায় অনুষ্ঠানটি ছায়ানটের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল সহ ছায়ানটের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রচার করা হবে।
১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর সুফিয়া কামাল পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি নিজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এতে অংশ নেওয়ার জন্য নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। ১৯৫৬ সালে শিশুদের সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। রোকেয়া হল নামকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন কিংবদন্তী শিক্ষাবিদ বেগম রোকেয়ার নাম অনুসারে।
সাহসী সামাজকর্মী হিসাবে সুফিয়া কামাল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আগে ও তার সময়ে জাতির বিরুদ্ধে নিপীড়ন এবং তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বড় বড় মানবাধিকার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
শৈশবকালে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব সত্ত্বেও তিনি বাড়িতে বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, উর্দু, আরবী, কুর্দি এবং ফার্সিসহ একাধিক ভাষা শিখেছিলেন। ১৯৩৮ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ সাঁঝের মায়ার মুখবন্ধ লেখেন কাজী নজরুল ইসলাম। বইটি বিদগ্ধজনের প্রশংসা কুড়ায় যাদের মাঝে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আরও পড়ুন: জীবনানন্দ দাশের ১২২তম জন্মবার্ষিকী আজ
কবি ও লেখিকা হিসাবে তিনি তখন এক ডজনেরও বেশি সংখ্যক কবিতা এবং ছোটগল্প, ছোট উপন্যাস রচনা করেন। তার ডকুমেন্টারি গ্রন্থ ‘একাত্তুরের ডায়েরি’ তে তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধের ভয়াবহ গল্পগুলি বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলাদের পত্রিকা বেগমের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
সুফিয়া কামাল বাংলাদেশ মহিলা পুনর্বাসন বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন এবং নারী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ছিলেন। তিনি ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারপার্সনও ছিলেন।
সুফিয়া কামাল ৫০টির বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মাঝে পাকিস্তান সরকারের তমঘা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৬১) যা তিনি ১৯৬৯ সালে প্রত্যাখান করেন। এছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২), সোভিয়েত লেনিন পদক (১৯৭০), একুশে পদক (১৯৭৬), নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), সংগ্রামী নারী পুরস্কার, চেকোশ্লোভাকিয়া (১৯৮১), মুক্তধারা পুরস্কার (১৯৮২), বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯৬), জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (১৯৯৫), দেশবন্ধু সি আর দাস গোল্ড মেডেল (১৯৯৬), স্বাধীনতা দিবস পদক (১৯৯৭) সহ আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়াও ঢাকার জাতীয় পাবলিক লাইব্রেরির নাম সুফিয়া কামাল জাতীয় পাবলিক লাইব্রেরি এবং বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর তার সম্মানে প্রধান মিলনায়তনের একটি তার নামে নামকরণ করেছে।
১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন। প্রতি বছর এই দিনটিতে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করা হয়। ২০ জুন, ২০১৯ তারিখে তার ১০৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে গুগল ডুডল তৈরি করে সম্মাননা প্রদান করে।
৩ বছর আগে
পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ১১৮তম জন্ম বার্ষিকী পালিত
তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়, / গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়; (নিমন্ত্রণ)
৩ বছর আগে
কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
বাংলা সাহিত্যের প্রেম ও দ্রোহের কবি প্রয়াত রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
৪ বছর আগে