স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাণিজ্য খাতকে আরও কার্যকরী করতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত ও সহজিকরণের দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই। একই সঙ্গে ট্যাক্স জিডিপি বাড়াতে কর কাঠামো পুনর্গঠন, ব্যবসাবান্ধব ও কর আহরণ প্রক্রিয়া সহজিকরণের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (জানুয়ারি ২) বেলা সাড়ে ১১টায় এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যতম একটি করণীয় ও চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করা। আর এ বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও সহজিকরণ অত্যন্ত জরুরি।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী রেসিলিয়েন্ট ইকোনমি অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক খাতকে সুসংগঠিত করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে, আর্থিক কার্যক্রমকে স্মার্টভাবে পরিচালনার জন্য সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দ্রুত উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের ভিত মজবুত হয়েছে। এখন প্রয়োজন বিভিন্ন খাতের অগ্রগতিকে সুসংহত, সমন্বিত ও ত্বরান্বিত করা।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেশকিছু করণীয় ও চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেন মাহবুবুল আলম। তার মধ্যে রয়েছে ট্যাক্স জিডিপি বাড়াতে কর কাঠামো পুনর্গঠন ও ব্যবসাবান্ধব করা। এ ছাড়া কর আহরণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সহজিকরণ করা, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নীতিমালা প্রণয়ন, শ্রমঘন শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে আর্থিক ও নীতিগত সুবিধা বৃদ্ধি করা।
উন্নয়নের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা, লজিস্টিক খাতের নীতিমালা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণের উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ৭ লাখ আইটি এক্সপার্ট দরকার হচ্ছে। কয়েক বছর পর হয়ত ১০ লাখ দরকার হবে। কিন্তু দক্ষতার অভাবে আমরা পাঠাতে পারছি না।
দক্ষ লোকবল না গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে বলেও আশঙ্কা করেন বাণিজ্য সচিব।
শিক্ষার মান বাড়ানো জরুরি উল্লেখ করে এনবিআর এ সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায় বিদেশিরা, অথচ দেশের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন, পলিস এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ড. মাশরুর রিয়াজ, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস।
এছাড়া কর্মশালায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আক্তার, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান রহমান প্রমুখ।