সোমবার চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকা ত্যাগ করার আগে ঢাকার চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে প্রতিবেদনগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করবে।
রবিবার বাংলাদেশ কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতির (ডিকাব) সদস্যদের সাথে অনলাইন মিটিংয়ে ঢাকার চীনা দূতাবাসের কাউন্সিলর ও ডেপুটি চিফ অব মিশন (ডিসিএম) হুয়ালং ইয়ান এ তথ্য জানান।
এর আগে ডা. শুমিং জিয়ানু তাদের প্রতিবেদরে ওপর একটি উপস্থাপন করেন।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে ডিকাবের সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইয়ান বলেন, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ আক্রান্ত কত হতে পারে বা হবে কি না সেটা বলা সম্ভব নয়। ‘গবেষকরা কেবলমাত্র বলতে পারবেন যে ভাইরাসটি পৃথিবীতে কত দিন স্থায়ী থাকবে।
‘এক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ,’ কোন দেশ একা এ সমস্যার সমাধান করতে পারে না বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তারা চীনের তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা বলে মনে করে এবং দলটি বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে।
তারা জনসচেতনতার অভাবকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমী বলে প্রশংসা করেছেন।
চীনা দূতাবাস জানায়, চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বাংলাদেশ সফর রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের আশ্বাসের একটি প্রতিফলন।
দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থানকালে বিশেষজ্ঞরা নির্ধারিত হাসপাতাল, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে করোনা মহামারী নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে কোভিড -১৯ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় শি জিনপিং ২০ মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে টেলিফোনে কথা বলেন।
আলোচনায় রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং কোভিড -১৯- মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।