‘কাজেই করোনা আক্রান্ত হলেও আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আর শরীরে করোনার লক্ষণ থাকলে দেরি না করে দ্রুত পরীক্ষা করতে হবে। করোনায় বেশি আতঙ্কিত হওয়ার থেকেও অনেক বেশি সচেতন থাকা প্রয়োজন,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী নিজ বাসা থেকে অনলাইনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য প্রচার অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি জানান যে চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের জন্য বর্তমানে দেশেই প্রতিদিন ১ লাখ পরিমাণ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) তৈরি হচ্ছে। এ মুহূর্তে দেশে ২০টি ল্যাবে একযোগে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলে তাদের চিকিৎসার জন্য নতুন করে আরও বেশকিছু হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে নতুন করে আরও বেশকিছু হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতালসহ বেশকিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতাল।’
এসব হাসপাতালের পাশাপাশি বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার ও দিয়াবাড়ির চারটি ফ্লোরসহ আরও বেশকিছু স্থাপনা খুব দ্রুতই প্রস্তুত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, বর্তমানে ঢাকায় ১,৫৫০ আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। এর সাথে উল্লেখিত হাসপাতালগুলো প্রস্তুত হলে ১০ হাজারের বেশি থাকবে আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা।