স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
২০০৯ থেকে ৪৫টি ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৪৫টি ওষুধ (অ্যালোপ্যাথিক) কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
সংসদে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রিপোর্ট করা এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ হাজার ৭৫ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৮২০ জন।
মানিকগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশের নদী দখলকারীদের একটি বিস্তৃত খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের (এনআরসিসি) ওয়েবসাইটে জেলাভিত্তিক দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি নদী দখলকারীর পরিচয় পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যাসহ বিভিন্ন নদী থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে অনেক নদী দখলমুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাকি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদের তথ্য জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে এনআরসিসিতে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, নদীর তীরে অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রণয়ন এবং উচ্ছেদ সংক্রান্ত অগ্রগতি তালিকা প্রণয়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
করোনা ঊর্ধ্বমুখী, আমরা কিছুটা চিন্তিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা এখন ঊর্ধ্বমুখী। আমরা কিছুটা চিন্তিত। তবে শঙ্কিত নই, প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, সংক্রমণ রোধে গত সপ্তাহে আমরা সভা করেছি। সেখানে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। অফিস, স্কুলে গেলে মাস্ক পড়বেন। ট্রেনে-বাসে গেলে মাস্ক পরতে হবে। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে অনুরোধ করেছি এবং কেবিনেটসহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। জনগণ এই নির্দেশনা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
বুধবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সঙ্গে আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানদের সাথে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত দুই-তিন দিন ধরে দুই-তিনজন করে মারা যাচ্ছেন। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি মানুষ যাতে ভ্যাকসিন নেয় এবং মাস্ক পরেন।
আরও পড়ুন: ওষুধের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, করোনার বৃদ্ধির হার গত ১৫ দিন অনেক কম ছিল। এখন অনেক বেশি। এটার লাগাম টেনে ধরত চাই। আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণের সচেতনা জন্য মাস্ক পরিধান করা জরুরি। সেটি হলে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, মাস্ক পরিধান করতে নির্দেশনা দিয়েছি। একটি চিঠি মন্ত্রপরিষদ থেকে দিয়েছে। আমাদের সুপারিশ থাকে মাস্কটা শাস্তি দিয়ে নয়, আহ্বান করব মাস্ক পরবে। তবুও ব্যত্যয় ঘটলে সরকার ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ভ্যাকসিন, করোনা নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নতুন যেসব প্রকল্প নিয়েছি এবং যেসব নিয়োগ কার্যক্রম সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমাদের তদারকিতে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে যেসব কাজ হাতে নেব সঠিক সময়, সঠিকভাবে সমাপ্ত করতে পারব। আমাদের বেশ কিছু অর্জন আছে, আমাদের সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। সেজন্য করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। আমাদের জনবলের যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। প্রকল্প যেগুলো চলমান সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। শিশুদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন জুলাই মাসের মাঝামাঝি পেয়ে যাবো। এটা হাতে আসলে ৫ থেকে ১২ ববছরের শিশুদের জন্য জুলাইয়ের শেষে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারব। সেজন্য যে ডকুমেন্টস প্রয়োজন সেগুলো শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করতে হবে।
২ বছর আগে
ওষুধের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ওষুধের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন,ওষুধের দাম যেন বৃদ্ধি না পায়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতিকে বলা হয়েছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যেন রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সঙ্গে মিটিং শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সঙ্গে আমরা বৈঠক করলাম। বাজেট ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে যেন ঔষধের দাম বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,ওষুধ উৎপাদনে আমরা সহযোগিতা করবো। সেই সঙ্গে ওষুধ সাপ্লাই দাম যাতে ঠিক থাকে রাখতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওষুধের মান আরও ভালো করা হবে। দামও সবার নাগালে থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য দ্রব্যের দাম বাড়ছে তবে ওষুধের দাম বাড়ছে বলে জানা নেই। তার মানেএখনোও দাম বাড়েনি। তাছাড়া সামনে যেন দাম না বাড়ে সে জন্যই আজকে এই মিটিং।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিতে অনিহার বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে চাপিয়ে দেয়ার কিছু নেই। টিকা নিলে কী সুবিধা, আমরা বলে দিয়েছি। আমি আবারও বলবো বুস্টার ডোজ যারা নেন নাই, তারা নিয়ে নেন। কেননা বুস্টার ডোজ নিলে মৃত্য ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
মন্ত্রী বলেন, এখন দেশে করোনা কিছুটা হলেও বাড়তি। আশপাশ দেশে বাড়ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সকর্ক থাকতে হবে।
২ বছর আগে
বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে কমদামে জনগণকে টিকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে টিকা দিয়েছি বলে গণমাধ্যমে এসেছে। এটি সঠিক নয়। বরং আমরা সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে জনগণকে টিকা দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এই তথ্য দিয়ে থাকলেও তা সঠিক নয়।’
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিআইবি প্রতিবেদন বিষয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিবেদন যে গ্রহন করিনি সেটিই বললাম। আমরা অবশ্যই এটা প্রত্যাখ্যান করি। একটা সংস্থা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। যেহেতু এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণ ও টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেলের সম্মানে অবস্থান করছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা ব্যবসায় অনেক উন্নয়ন করেছি। টিকার কার্যক্রম অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছি। প্রথম ডোজ প্রায় ১৩ কোটি, সেকেন্ড ডোজ ১১ কোটি ৬০ লাখ ও বুস্টার ডোজ এক কোটি ১৯ লাখ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮৭ শতাংশ ও বুস্টার ডোজ ৯ শতাংশ দেয়া হয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।
টেস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, টিআইবি বলে ল্যাব সংখ্যা খুব কম। একটা ল্যাব ছিল, সেখানে থেকে ৮৭০টি বিভিন্ন পর্যায়ে ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ সময় বিনামূল্যে টেস্ট করিয়েছি। প্রাইভেট সেক্টরে ৩০ শতাংশ টেস্ট করেছে। বাকি ৭০ শতাংশ সরকারি ল্যাবে টেস্ট হয়েছে। এখন পাঁচ হাজার টেস্টে হয়, কখনো ৫০ হাজারও করেছি। তখন তো চাপ বেশি পড়ে, তাই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারার কথা না। চিকিংসা ভালো দিতে পারিনি বলা হয়েছে, আমাদের নাকি বেড ছিল না। তারা আট মাসের সার্ভের কথা বলেছে, কিন্তু কোভিড তো দুই বছর ধরে। বেডের কোন ঘাটতি ছিল না।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার পেছনে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, আইসিইউতে কিছুটা সংকট ছিল, কিন্তু আমরা করোনার মধ্যে সেটি করেছি। ভ্যান্টিলেটর ইজ নট সলিউশন, ভ্যান্টিলেটর খালিই ছিল। বাংলাদেশের এমন কোনো হাসপাতাল নেই যেখানে অক্সিজেন ছিল না। এটি সঠিক নয়।
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ নাকি বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। সেটা হলে তো দেড় লাখ মানুষ মারা গেছে। কিন্তু এতো মানুষ তো মারা যায়নি। ওষুধ পায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে ওষুধ এভেইলেবল ছিল কোন অভাব হয়নি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কোভিডের চিকিৎসা প্রাইভেটেও যা, সরকারিতেও তা। তারা তো আমাদের গাইডলাইনেই চিকিৎসা করেছে। দেশের সুনামের দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অনেক চিকিৎসক, নার্স মৃত্যুবরণ করেছে। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাক্সিনেশনে চ্যাম্পিয়ন করেছে।
২ বছর আগে
লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ১০ কোটি টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের টার্গেট জনগণ ১২ কোটি। তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ টিকার আওতায় চলে এসেছে।’
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, অনেকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা ইচ্ছা করেই টিকা নিচ্ছেন না, তবে আমি বলতে চাই আমাদের দেশের মানুষের টিকা নেয়ার প্রবণতা রয়েছে। দেশের জনগণ অন্যান্য দেশের মতো না।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর হলেই বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘ইউরোপে দেখলাম টিকা নেয়ার জন্য আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে; রাস্তা-ঘাটে মারপিট করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস, আমেরিকাতেও এমন পরিস্থিতির দেখা গেছে, তবে বাংলাদেশে এখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি,’ বলেন মন্ত্রী
টিকা মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে দিচ্ছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যু কম হওয়ার কারণ হলো আমাদের একটি বড় জনগোষ্ঠীকে আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কম।
২ বছর আগে
ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে স্কুলগামী শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু
ঢাকার কেন্দ্রগুলোতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যাণ্ড কলেজে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে আটটি স্কুলে টিকা দেয়া শুরু করেছি। প্রতিদিন বিভিন্ন কেন্দ্রে থেকে পাঁচ হাজার করে ৪০ হাজার টিকা দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ১ নভেম্বর থেকে স্কুল শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে করোনার টিকা
তিনি বলেন, ‘১২ বছরের নিচে এখনি টিকা নয়। ড্রপ আউট হোক আর যেই হোক সবার টিকা প্রয়োজন এবং এর ব্যবস্থা করা হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ফাইজারের ৯৬ লাখ পেয়েছি, হাতে আছে আরও ৮২ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে তারা আগামীতে আরও ফাইজার ও মডার্নার টিকা দিবে। উপজেলা পর্যায়েও ফাইজার টিকা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে
ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ১২ বছরের বেশি বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ১২ বছরের বেশি বয়সী যারা আছেন তাদের টিকা দেয়ার ব্যাপারে ডব্লিউএইচও’র অনুমোদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে। কোনো দেশেই এর অনুমোদন দেয়া হয়নি। যেসব দেশ দিচ্ছে তারা নিজেদের মতো করেই দিচ্ছে। এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনেরও প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, টিকা দেয়ার কার্যক্রম এ মাস থেকে আরও বেগবান হবে। এ মাসে আড়াই কোটি টিকা পাওয়া যাবে। এই আড়াই কোটি টিকার মধ্যে দুই কোটি সিনোফার্মের, বাকিটা ফাইজারের।
আরও পড়ুন: আগামী মাসে ২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১৭ হাজার বেড ছিল, এখন সেখানে সারাদেশে ১২ থেকে ১৪ হাজার বেড খালি। ঢাকায় ৭৫ ভাগ খালি আছে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এগুলো খালি হয়েছে। এগুলো ক্যান্সারসহ সাধারণ রোগীদের জন্য দেয়া হবে।
৩ বছর আগে
সব মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজসহ সকল মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে খুলে দেয়া হবে। এ মাসের ১৩ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ‘বঙ্গবন্ধুর' নামে নামকরণ
অনিয়ম-দুর্নীতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্প
কিট সংকটে নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ
৩ বছর আগে
টিকাদান বন্ধ হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামীতে টিকাদান বন্ধ রাখতে হবে না, টিকাদান চলবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের টিকা আনার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২৫ লাখ মডার্নার টিকা পাচ্ছি। কিছুদিনের মধ্যেই এই টিকা চলে আসবে। এক্ষেত্রে আমাদের যে সিদ্ধান্ত দেয়ার বিষয় ছিল, সেটা আমরা দিয়ে দিয়েছি। চায়না থেকে আমরা তাড়াতাড়ি টিকা পেয়ে যাব বলে আশা করছি। আগামী মাসেও চায়নার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হয়তো আমরা টিকা পেতে থাকব। কোভ্যাক্স থেকেও আমরা টিকা পেতে থাকব। রাশিয়ার সঙ্গেও হয়তো আমরা চুক্তি সমাপ্ত করতে পারব।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী লকডাউনে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী
তিনি আরও বলেন, টিকা কার্যক্রম আমাদের বন্ধ রাখতে হয়েছিল। আগামীতে বন্ধ রাখতে হবে না। টিকা কার্যক্রম ইনশাআল্লাহ চলমান থাকবে।
করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরবর্তী পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করবেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সংকট এড়ানোর জন্যই তো লকডাউন দেয়া হচ্ছে। আমাদের এখনও চিকিৎসা দেয়ার যথেষ্ট উপায় আছে। ১২ থেকে ১৫ হাজার বেড সারাদেশে করোনা চিকিৎসার জন্য রেডি করা আছে। এখনও আমাদের যথেষ্ট বেড আছে, আমরা রোগী রাখতে পারব। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অনেক আছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় ১ হাজার ৬০০ অক্সিজেন কনসেন্ট্রটর আছে। ওষুধের কোন ঘাটতি নেই। এদিক থেকে আমরা সহনীয় পর্যায়ে আছি।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে করোনার টিকা তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন থেকেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যদি লাখ লাখ লোক আক্রান্ত হয়ে যায় তবে তো কষ্ট হবেই। সেজন্য লকডাউন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা উৎপাদনের বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে ইডিসিএলকে (এসেনশিয়াল ড্রাগ লিমিটেড) অনুমতি দিয়েছি। ইডিসিএলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করার জন্য। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা যা নির্দেশনা, সহযোগিতা দেয়া দরকার, সেটা করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, ইডিসিএল টিকা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবেন। এটা একটু সময় সাপেক্ষ। যত তাড়াতাড়ি পারা যায় আমরা উৎপাদনে যাব, এটাই আমাদের চেষ্টা থাকবে।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা উৎপাদন করলে তো বাংলাদেশের টিকাই করব। আমরা যদি কারো সঙ্গে কোলাবরেশনে যাই, সেটাও আমরা দেখব। যদি কেউ আমাদের অফার করে, তাদের টিকা বাংলাদেশে উৎপাদন করবে। তাহলে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো আছে, তারা সেখানে উৎপাদন করতে পারবে। সেই সুযোগ সুবিধা আমাদের নেই, প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর আছে। সেটা আমাদের নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া আছে।
গ্লোব বায়োটের বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিনের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদেরকেও আমরা সহযোগিতা করছি। টিকা তৈরি করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আছে। সেই পদক্ষেপগুলো পার হয়ে আসলেই তারা টিকা উৎপাদন করতে পারবেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক যে নিয়মনীতি আছে, ডব্লিউএইচও’র যে নিয়মনীতি আছে টিকা উৎপাদন করার সেই নিয়মনীতিগুলোর পরিপালন করে তারা আসলেই টিকা উৎপাদন করতে পারবে।
৩ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেছেন ফখরুল
প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করাকে, সত্য ও দুর্নীতি প্রকাশে সরকারের বাঁধার এক উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই ঘটনায় নিন্দা জানান এবং ভুক্তভোগী রোজিনার তাৎক্ষণিক মুক্তি দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নানের পদত্যাগের দাবিও করেন। তিনি মনে করেন, রোজিনাকে তাদের নির্দেশে দমন করার চেষ্ট চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা গ্রেপ্তার
ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের দায় এড়াতে পারে না সরকার। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব ঘটনাটি সম্পর্কে জানতেন, তারা রোজিনা ইসলামকে উদ্ধারে কোনও পদক্ষেপ নেননি। বরং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটি তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি কেবল কর্তৃত্ববাদী সরকারের দ্বারা সাংবাদিকদের দমন করার একটি উদাহরণ। এছাড়া ভিন্নমত পোষণ করা, সত্য উন্মোচন করা এবং দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের বাঁধা দেওয়ার একটি উদাহরণ এই ঘটনা।’
তিনি আরও বলেন, সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের এই ঘটনা দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে, যাতে তারা আর সরকারের ‘দুর্নীতি, চুরি, অনিয়ম’ নিয়ে রিপোর্ট করতে না পারে। সাংবাদিকদের মাঝে সরকার ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে নিজেদের দুর্নীতিকে ঢাকতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
৩ বছর আগে