রোগী
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৯
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন।
শনিবার (১৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪ জন রোগী।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১৭
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৭১৫ জন। এর মধ্যে ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ শতাংশ নারী।
৪ দিন আগে
বরিশাল শেবাচিমে রোগী দেখছেন না চিকিৎসকরা, দুর্ভোগ
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে বর্হিবিভাগে রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসকরা। বুধবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত মানুষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার মানুষ এই হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নেয়। আজ সকালেও একইভাবে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় আউটডোরের টিকিট বিতরণ।
কিন্তু দুইশ থেকে তিনশ টিকিট বিতরণের পর তা বন্ধ করে দেয় হাসপাতালের কর্মীরা। পরে জানা যায় যে ধর্মঘটে গেছে চিকিৎসকরা। বেলা ১০টা পর্যন্ত রোগী দেখার পর কক্ষ ছেড়ে চলে যান চিকিৎসকরা। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা পড়েন মহাদুর্ভোগে।
আরও পড়ুন: শাটডাউনের তৃতীয় দিনে অচল শেবাচিম ক্যাম্পাস
কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসক মর্তুজা আলম বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচি দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে। আমাদের এখানে দেরিতে খবর পৌঁছায় সকালে আউটডোরের রোগীদের টিকিট বিতরণ শুরু হয়ে যায়। যতগুলো টিকিট বিতরণ হয়েছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার পরই আমরা কাজ বন্ধ করেছি। কেন্দ্র থেকে আসা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার তাসলিমা বেগম বলেন, ‘তারা ধর্মঘটে যাবেন; সেটা আগে বললেই পারতেন। হঠাৎ করে কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা বিপদে পড়েছি। সকাল থেকে এসে বসেছিলাম ডাক্তার দেখানোর আশায়। এখন না দেখিয়েই ফেরত যেতে হচ্ছে।’
একইভাবে আরো কয়েক শ’ রোগী ফেরত যান চিকিৎসা না পেয়ে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, ধর্মঘটরত চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা চলছে। আশাকরি খুব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
৮ দিন আগে
রোগীদের প্রথম দল সোমবার চীন যাচ্ছেন
উন্নত চিকিৎসাসেবা নিতে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল সোমবার চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। উন্নত চিকিৎসা সেবার দেওয়ার জন্য উভয় দেশের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রোগীরা দেশটিতে যাচ্ছেন।
প্রথম ব্যাচে ১১ জন রোগী থাকতে পারে জানিয়ে একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, তারা ১০ মার্চ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এদিন দুপুর ১২টায় বিমানবন্দরের সিআইপি বহির্গমন টার্মিনালে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
এ সময় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রোগী, চিকিৎসক ও ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীনের ইউনান প্রদেশের তিনটি শীর্ষ পর্যায়ের হাসপাতালকে বিশেষভাবে বাংলাদেশি রোগীদের গ্রহণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
রাজধানীর চীনা দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'সব প্রচেষ্টা যদি সুষ্ঠুভাবে অব্যাহত থাকে, তবে চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম দল চীনে চিকিৎসা নিতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা উন্নত করতে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা, চিকিৎসা প্রক্রিয়া স্পষ্ট করা এবং অনুবাদ দল গঠনসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিগুলো সম্পন্ন করছে।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন তার সাম্প্রতিক চীন সফরকালে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং চীনকে চীনকে অনুরোধ করেন যেন—বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা সেবা চীনে সহজতর করা হয় এবং সহায়তাপ্রাপ্ত হাসপাতাল প্রকল্পগুলো যথাযথ বিবেচনা করে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'চীন এসব প্রস্তাবকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।’
১০ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৭
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭ জন।
বুধবার (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড মার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫ জন রোগী।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ১১
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
১৪ দিন আগে
অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত ঢামেক হাসপাতাল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা ও অতিরিক্ত চাপের কারণে রোগীদের সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে।
ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ রোগী হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তির পরই তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অপর্যাপ্ত খাদ্য ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবের সম্মুখীন হন।
আসন সংকটের কারণে অনেক রোগীকে জনাকীর্ণ করিডোর ও ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান ক্রমবর্ধমান সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, চলমান এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিচ্ছেন।
চিকিৎসায় বিলম্ব ও ওষুধের অভাব
ময়মনসিংহে এক দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া আলাল উদ্দিন ৪ অক্টোবর থেকে করিডোরে অপেক্ষা করছেন, কিন্তু এখনও বিছানা পাননি।
তার ভাই জালাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রয়োজনের সময় নার্সদের পাওয়া যায় না, এমনকি ডাক্তারদেরও খুঁজে পাওয়া কঠিন।’
আরেক রোগী ২৪ বছর বয়সি জাহিদ হাসান ২ অক্টোবর ভর্তি হয়েছেন। তিনিও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা জাহিদের বাবা জানান, ‘প্রেসক্রাইব করা একটি ইনজেকশন এখনও দেওয়া হয়নি, বলা হচ্ছে সেটি স্টকে নেই, যদিও হাসপাতালের ফার্মেসিতে তালিকাভুক্ত।’
ওষুধের অভাবে অনেক রোগী বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
পরিচ্ছন্নতার অভাব
হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপের কারণে পরিচ্ছন্নতার মান বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীরা।
তবে অপরিচ্ছন্নতার জন্য লোকজনের আচরণও দায়ী বলে মনে করেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, ‘শৌচাগারগুলোর পাইপলাইনে প্রায়ই অপ্রয়োজনীয় বস্তু আটকে যায় এবং পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া প্রতিটি শৌচাগার প্রায় ১০ জন লোক ব্যবহার করেন, তাই সঠিক স্যানিটেশন বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’
হাসপাতালের রান্নাঘরেও দেখা গেছে নানা রকম সমস্যা। যেখানে রান্না করা হচ্ছে, তার আশপাশে বর্জ্য জমে রয়েছে। খাদ্যদ্রব্যগুলো ঢেকে রাখা হয়নি। এগুলো রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করছে।
জনবল সংকট ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা
পরিচালকের মতে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। তিনি বলেন, ‘জনবল না বাড়ালে এরকম অব্যবস্থাপনা চলতেই থাকবে।’
এছাড়াও, প্রতিদিনের জন্য রোগীপ্রতি মাত্র ১৫০ টাকা খাদ্য বাজেট যথেষ্ট নয় বলেও তিনি জানান। একই সঙ্গে খাবারের মান উন্নয়নের জন্য এটি ২০০ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশ করেন।
দুর্নীতির কারণে আর্থিক চাপ
বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, রোগীদের জন্য হুইলচেয়ার সহায়তা মৌলিক সেবার মধ্যেই পড়ে। অথচ এর জন্য হাসপাতালের কর্মচারীদের ৫০-১০০ টাকা পরিমাণ বকশিস দিতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ওয়ার্ড সহকারী বলেন, ‘রোগীরা যদি আমাদের কিছু দেন, তাহলে আমাদের ব্যক্তিগত খরচ মেটাতে সহায়ক হয়।’
হাসপাতালের পরিচালক এই সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কাজে জড়িতদের আমরা বরখাস্ত করেছি, তবে পুরোপুরি এই প্রথা নির্মূল করা এখনো চ্যালেঞ্জিং।’
১৩১ দিন আগে
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতিতে চিকিৎসকরা, রোগীদের দুর্ভোগ
অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
এসময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এতে করে হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের কর্মবিরতি
এদিকে এই বিষয় সমাধানের জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরিচালক সব বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সভা হয়।
হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর স্বজনরা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়দের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর ছেলে মানিক। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাইনি। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগীর স্বামী ইরফান বলেন, আমার স্ত্রীর বুধবার সকালে ডেলিভারি (সন্তান প্রসব) হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীর কিছু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব দায় নিতে হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। আশা করি দ্রুত সব কার্যক্রম চালু হবে।
হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে কুরিয়ার সার্ভিস কর্মীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
১৮৯ দিন আগে
ভেঙে পড়েছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা, রোগীরা ভোগান্তিতে
ভেঙে পড়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা। অজানা কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল। এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান। আর অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে ৪১ চিকিৎসককে। ফলে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে খুমেকের চিকিৎসা সেবা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) খুমেকের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগের অর্ধশত চিকিৎসক অনুপস্থিত। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শয্যা ও জনবল, চিকিৎসায় ভোগান্তি
দেখা যায়, বহির্বিভাগের ২০২ নম্বর রুমের প্রীতম চক্রবর্তী, ২০৯ নম্বর রুমের ডা. হিমেল সাহা, ২০৭ নম্বর রুমের ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, ২০৫ নম্বর রুমের ডা. শেখ তাসনুভা আলম, ২০৪ নম্বর রুমের ডা. সুব্রত কুমার মন্ডল, ২০৩ নম্বর রুমের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার, ২১১ নম্বর রুমের ডা. দীপ কুমার দাশ, ২১২ নম্বর রুমের আরএমও ডা. সুমন রায়, ১০৩ নম্বর রুমের ডা. তড়িৎ কান্তি ঘোষ, ৩০৮ নম্বর রুমের ডা. নিরুপম মন্ডল, ২০৪ নম্বর রুমের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ৪১১ নম্বর রুমের ডা. রনি দেবনাথ তালুকদার, ৪১০ নম্বর রুমের ডা. মিথুন কুমার পাল, ৪১২ নম্বর রুমের ডা. জিল্লুর রহমান তরুণ, ১০৫ নম্বর রুমের চিকিৎসক শিবেন্দু মিস্ত্রিসহ প্রায় ২০ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত।
নিরাপত্তা ঝুঁকিতে তারা আসেননি বলে জানান হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া আন্তঃবিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দূর থেকে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম বলেন, ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুমেকে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট কেটে কক্ষে এসে দেখি ডাক্তার নেই। এখন ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।
এসব বিষয়ে খুমেকের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এবং আরএস কেউ কর্মস্থলে না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: খুমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুর্শিদ বলেন, হাসপাতাল সরাসরি আমাদের অধীনে না। তারপরও আমি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের চাপে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আকতারুজ্জামান পদত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে মেডিকেল কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে উপস্থিত হন কার্ডিওলোজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোস্তফা কামাল।
তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন ৪১ জন চিকিৎসকের একটি তালিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে ভয়ে দুটি কাগজেই সই করেন ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আক্তারুজ্জামান।
এই ৪১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএস, আরএমও, রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পোস্টের চিকিৎসক রয়েছেন।
উপপরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, জীবনে কেউ আমাকে আওয়ামী লীগ ও স্বাচিপ কোনো কিছুর প্রাথমিক সদস্য হয়েছি কোনো দিন দেখাতে পারলে আমি সব শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমি কোনো দিন সরকারি চাকরি ছাড়া কোনো দিন কোনো আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি এমন কোনো রেকর্ড নেই। বরং আমাকে আওয়ামী লীগ সরকার বারবার শাস্তিমূলক বদলি করেছে। নিচের গ্রেডে নামিয়ে দিয়েছে। এতকিছুর পর গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভাবলাম এবার হাসপাতালের জন্য কিছু করতে সুযোগ পাব, কিন্তু আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হলো।
আরও পড়ুন: খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফোরামের সদস্য সচিব ডা. তাহমিদ মাশরুর বলেছেন, স্যার ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এমন অভিযোগে তাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ করিয়েছেন এমন কোনো বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অবগত নন।
১৯৬ দিন আগে
ঢামেকে জরুরি সেবা চালু, বহির্বিভাগে সেবা এখনও বন্ধ
বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকলেও সোমবার বিকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আবার কাজ শুরু হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘জরুরি সেবা চালু থাকলেও চিকিৎসকের সংকট রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে হাসপাতালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সেনা সদস্য এবং পুলিশ মোতায়েন করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
আজ রাত ৮টার পর নির্ধারণ করা হবে বহির্বিভাগ পুনরায় চালু হবে কিনা।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হলে চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে তিনজন চিকিৎসককে হাসপাতালের ভিতরে মারধর করেন স্বজনরা। এর প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেয় চিকিৎসকরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পক্ষ থেকে নিরাপত্তা এবং চিকিৎসকদের ওপর নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসের পর তারা দেশজুড়ে চিকিৎসা সেবার 'কমপ্লিট শাটডাউন' আহ্বান প্রত্যাহার করে নেন।
ইতোমধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জ্যেষ্ঠ আনসার সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, জরুরি বিভাগে মাত্র দুই-তিনজন চিকিৎসক আছেন এবং তারা নিরাপত্তার উদ্বেগের মধ্যেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঢামেকে চিকিৎসকদের ওপর হামলা: গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার ১
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
১৯৮ দিন আগে
২৪ ঘণ্টায় আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এসময় নতুন করে একজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৩৭২ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২ জনের করোনা শনাক্ত
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ জন। এ নিয়ে করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২০ লাখ ১৯ হাজার ৫৫ জনে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
২১৩ দিন আগে
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৯২
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে আরও ১৯২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৫৪ জন রোগী।
এছাড়া, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ হাজার ১৮৯ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
দেশে আরও ২১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
২২৫ দিন আগে