গত ৪ আগস্টের ১,৯১৮ জনের পর শনাক্তের দিক দিয়ে এটাই সর্বনিম্ন।
করোনা সংক্রমণের ২৪তম সপ্তাহে দেশে মোট কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৮ জনে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৪১ জনে।
দেশের ৯১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবে (পরীক্ষাগার) গত ২৪ ঘণ্টায় আগের নমুনাসহ রবিবার পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৮০১টি নমুনা। এ পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৬টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮.২৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত ২০.৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে রবিবার ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ হাজার ৬২৪ জন সেরে উঠেছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৬০.৭৯ শতাংশ।
নতুন করে যে ৩৪ জন মারা গেছেন তাদের ২২ জনের বয়স ৬০ বছরের উপরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, ১৮ মার্চের পর থেকে ১০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে ০.৪৮ শতাংশ মারা গেছেন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে ০.৮৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২.৪১ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ এর মধ্যে ৬.২৭ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ এর মধ্যে ১৩.৩০ শতাংশ, ৫১ এবং ৬০ এর মধ্যে ২৭.৭৩ শতাংশ এবং ৬০ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদের মধ্যে ৪৮.৯ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ পর্যন্ত ঢাকায় ১,৮৯৯ জন, চট্টগ্রামে ৮৭৩ জন, রাজশাহীতে ২৬৭ জন, খুলনায় ৩১৬ জন, বরিশালের ১৫৮, সিলেটে ১৮৪, রংপুরে ১৬৫ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৩ জন মারা গেছেন।
সারা দেশে বর্তমানে ২০,৬১৯ জন আইসোলেশনে এবং ৫২,৬৭৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
বিশ্বে করোনা
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৩২ লাখ ৩ হাজার ৫৩২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ৪১৬ জনের।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ২৫০ জনের।
এদিকে, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজার ৭০৬ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৫৬ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৫৩ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।