ঢাকার কেরাণীগঞ্জে দীর্ঘদিনের স্পর্শকাতর ধর্ষণ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন ওয়াসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র্যাব-৩ ও র্যাব-১০ এর একটি দল এই যৌথ অভিযান চালিয় তাকে গ্রেপ্তার করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকার ওয়ারীর মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম (৪৭) কেরাণীগঞ্জে পালিয়ে ছিলেন।
ওয়াসিম ওয়ারী থানার নারিন্দার সাহেব আলী লেনের ৬৫/সি নম্বর বাড়িতে থাকতেন।
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লবে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণকারী রনি গ্রেপ্তার
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের সময় নির্যাতিতার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ওয়াসিমের।
এই পরিচয়টি ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভুক্তভোগী নারী তালাকপ্রাপ্ত জানার পরেও ওয়াসিম প্রেম এবং বিবাহ উভয়ই প্রস্তাব দেয়।
সন্দেহভাজন ব্যক্তি ভুক্তভোগীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার বিশ্বাস অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন এবং আল্লাহর নামে একটি শপথ ব্যবহার করেছিলেন। পরে তার ভাড়া বাসা এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
আরও তদন্তে জানা গেছে, ওয়াসিম ভুক্তভোগীকে তার কথিত জীবনসঙ্গী হিসাবে ব্যবহার করে বিভিন্ন এনজিও থেকে বড় অঙ্কের অর্থ ঋণ নেওয়ার সুযোগ নিয়েছিল।
অবশেষে ভুক্তভোগী ওয়াসিমের বিয়ে ও আর্থিক বিষয় নিয়ে তার প্রথম স্ত্রী ও মেয়ের মুখোমুখি হলে তারা সমাধানের আশ্বাস দেন।
তবে ওয়াসিম শেষ পর্যন্ত ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ে নিবন্ধন বা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন।
২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর ওয়াসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার সবুজবাগ থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলাটি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর ওয়াসিম ওয়ারী এলাকা থেকে পালিয়ে কেরাণীগঞ্জে আত্মগোপন করেন।
তার বিরুদ্ধে এখন আইনি প্রক্রিয়া চলছে এবং কর্তৃপক্ষের আরও তদন্ত চলছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার: র্যাব