শনিবার কোরবানির গবাদিপশু বিপণনের অনলাইন প্লাটফর্ম ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’ র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য থাকবে যাতে কোনোভাবেই রোগগ্রস্ত বা কোরবানির অনুপযুক্ত গবাদিপশু বিক্রি না হয়। আমরা ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম করে দিচ্ছি। তারা সেটা লক্ষ্য রাখবে। গবাদিপশুর বাজারগুলোতে মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ন পশু বাজারে আসতে না পারে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিমও কাজ করবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোরবানির জন্য যে পরিমাণ গবাদিপশুর সরবরাহ দরকার তা দেশেই রয়েছে। আমরা বিদেশ থেকে একটা পশুও আমদানি করবো না। দেশের খামারিরা চমৎকার গবাদিপশু উৎপাদন করছেন। যা বাজারে দরকার তার চেয়ে বেশি উৎপাদন রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জীবন ও জীবিকা চালিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় আমরা সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছি।’
এসময় মন্ত্রী কোরবানির ডিজিটাল হাট প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে সময়োচিত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
এ কাজে প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।