মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
শিগগিরই দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে চার্জশিট জমা দেবেন বলে সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেলিম প্রধান অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ ভোগ দখলে রেখেছেন। এছাড়া অবৈধভাবে উপার্জিত আয়ের ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন।
পাচার করা টাকা ফেরত আনতে থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ বরাবরে অনুরোধ করা হয়েছে।
সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তে অবৈধভাবে ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর এবং ৫৭ কোটি ৩১ লাখ ৫৪ হাজার ২৮৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার সময় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে র্যাব গুলশান ও বনানীতে তাকে নিয়ে তার বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২৯ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করে। সেই সাথে একই দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধভাবে হরিণের চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়।