চার্জশিট
দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
করোনা পরীক্ষার ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান এই চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- খুলনার সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুজাত আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, সাময়িক বরখাস্ত থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী এবং ক্যাশিয়ার তপতী সরকার।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে গালমন্দ করে ওএসডি হলেন টেকনাফের ইউএনও
দুদক কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন শুধু প্রকাশ কুমার দাস।
মামলার তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই ছয়জন পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে হাসপাতালের বুথে ডুপ্লিকেট রশিদ বই ব্যবহার করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে নমুনার সংখ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে বসিয়ে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠান। সে অনুযায়ী ফলাফল পেয়ে তা প্রকাশ ও রোগীদের সরবরাহ করেন।
পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে সে অনুযায়ী ইউজার ফি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেন। প্রকৃত আদায় করা ইউজার ফির টাকা জমা প্রদান না করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোডিড-১৯ রোগীদের ইউজার ফি বাবদ আদায় করা মোট ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। অবশিষ্ট ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা জমা প্রদান না করে আত্মসাৎ করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসককে জরিমানা করে ওএসডি হলেন সাতকানিয়া ইউএনও
১ বছর আগে
রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
সিলেটের নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। এছাড়া পলাতক আরেক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মোমেন এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অভিযোগপত্র গ্রহণকালে প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ আসামি আদালতে হাজির ছিল।
পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: আরও ২ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
এর আগে গত ৫ মে আলোচিত এই মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন-সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির ‘টুইআইসি’(সেকেন্ড-ইন-কমান্ড) পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। এদের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে এসআই মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও এএসআই আশেক এলাহী।
আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
১৩ অক্টোবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আকবর। পলাতক আকবরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠলে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ বছর আগে
পরীমণির দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন শাহ শহিদুল আলম।
এ বছরের ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
পরীমণির মামলা দায়েরের পর উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: পরিমণির মামলায় জামিন পেলেন নাসির-অমি
মাদকের মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
৩ বছর আগে
ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় প্রধান আসামি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
চার্জশিটে মামলার আরেক আসামি সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচ জনের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণে’ ব্যর্থ হয়ে শিশুর হাড় ভেঙে দেয়ার অভিযোগ
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসলাম উদ্দিন মোল্লা ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
লালবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) স্বপন কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভিপি নুর বাদে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।
আরও পড়ুন: সিলেটে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে এক ঢাবি শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে এজাহারে ৩ নম্বর আসামি হিসেবে নুরের নাম উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সাথে বাদীর পরিচয় হয় এবং সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে গত বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে তার লালবাগের বাসায় যেতে বলেন হাসান আল মামুন। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
৩ বছর আগে
ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ: ছাত্র অধিকার পরিষদের সোহাগ-মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও একই সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
সোহাগের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মামুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সোমবার মামলার তদন্তকারী ডিবি ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান অভিযোগপত্র ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন।
আরও পড়ুনঃ আজিমপুরে ঢাবি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
এ মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন পুলিশ।
অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দেয়া অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।
আরও পড়ুনঃ ঢাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
৩ বছর আগে
কার্টুনিস্ট কিশোরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও দিদারুল ভূঁইয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (সম্পূরক অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে পুলিশ।
রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালতের রমনা জেনারেল রেকডিং (জিআর) শাখা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন কার্টুনিস্ট কিশোরের
মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহম্মেদ মারা যাওয়ায় চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এজাহারভুক্ত আরও তিনআসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার নামে অজ্ঞাত ব্যক্তি (এই নামে ফেসবুক আইডি ছিল, কিন্তু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি)।
আরও পড়ুন: ১০ মাস পর কারামুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোর
অভিযোগপত্রে নাম আসা অপর আসামিরা হলেন আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদুন নবী।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলায় প্রথমবার চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তখন তিন জনকে অভিযুক্ত করা হয়। বাকি ৮ আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন।
এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ৫ মে র্যা ব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।
৩ বছর আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বরখাস্তকৃত ইনচার্জ পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় পিবিআই তদন্তকারী দল সিলেট কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাসের কাছে মামলার অভিযোগপত্রটি হস্তান্তর করে। অভিযোগপত্রে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ ৫ পুলিশ ও আকবরকে পালাতে সহযোগিতাকারী কোম্পানীগঞ্জের আব্দুল্লা আল নোমান নামের এক যুবকসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নোমানের বিরুদ্ধে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক বদল করার অভিযোগ রয়েছে।
নিহত রায়হান আহমদ (৩৩) নগরীর জালালাবাদ থানাধীন নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান জানান, কোর্ট পুলিশ মামলাটি ভার্চুয়াল আদালতে উপস্থাপন করবেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেকে এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। এদের মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী জানান, পিবিআই দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আপাতত কোনো অসংঙ্গতি চোখে পড়েনি। তবে অভিযোগপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তোলার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরপর অভিযোগপত্র নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে বর্বর নির্যাতন চালানো হয় রায়হান আহমদের ওপর। এসআই আকবরের নেতৃত্বে তার হাতের নখ তুলে নেয়া হয়। সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রায়হানের শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমন বর্বর নির্যাতনে মারা যান রায়হান। মৃত্যুর পর ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালায় বন্দর ফাঁড়ির পুলিশ। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও আদালতে আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে টাকার জন্য ফাঁড়িতে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে হেফাজতে মৃত্যু নিরোধ আইনে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার হওয়ার পর পুলিশ, লাইনে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় পালিয়ে যান বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া। তিনি ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে।
নানা সমালোচনা ও তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে আকবরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা পুলিশ। ভারতে পালানোর সময় সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে আটক করে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।
তবে আরেকটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তের ভেতরে স্থানীয় খাসিয়ারা আকবরকে আটক করে বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে এসে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আকবরকে কানাইঘাট সীমান্তের ওপারে ভারতের একটি খাসিয়া পল্লীতে আটকের একটি ভিডিও ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে।
আকবরকে গ্রেপ্তারের পরদিন ১০ নভেম্বর তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। এরআগে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার অন্য পুলিশ সদস্যদেরও রিমান্ডে নেয়া হয়। তবে রিমান্ড শেষে তারা কেউই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
৩ বছর আগে
ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন বিচারক।
বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
আসামির আইনজীবী মো. জাহেদুর রহমান আদালতে পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিনের আবদেন মঞ্জুর করেন। একই সাথে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্টের রুল
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাজারীবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: শের-ই-বাংলা নগর থানার মামলায় ফটোসাংবাদিক কাজলের জামিন
গত বছরের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি।
পরদিন ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই থেকে কারাগারে ছিলেন কাজল।
এরপর ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক কাজল বেনাপোল থেকে উদ্ধার
৩ বছর আগে
অস্ত্র মামলা থেকে ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত
অস্ত্র মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (বরখাস্ত) কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
৩ বছর আগে
সাতক্ষীরায় সিরিজ বোমা হামলা মামলার রায় আজ
সাতক্ষীরায় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট চালানো সিরিজ বোমা হামলা মামলার রায় আজ বুধবার ঘোষণা করা হবে।
৩ বছর আগে