প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, কর্ম, পুনর্বাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও স্বীকৃতি, প্রতিবন্ধীদের ভাতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের দাবিতে শনিবার (১৬ আগস্ট) যশোর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামের হলরুমে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ, যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে খুলনা বিভাগীয় মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা কমিটির সভাপতি রাজু আহম্মেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইলিয়াস রাজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন। মূল আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির মূখ্য আলোচক গাউসুল আজম শীমু।
সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও ত্রিপিটক পাঠ এবং জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ রাজু আহম্মেদ। বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা সভাপতি বাবু পরিমল কুমার ঘোষ, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি লিখন আহম্মেদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি মোঃ জামালউদ্দীন, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি রেজাউল করীম, মেহেরপুর জেলা সভাপতি মোঃ এনামুল হক, যশোর জেলা কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মিলন মিত্র, ভেড়ামারা কুষ্টিয়া সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান, যশোর জেলা কমিটির উপদেষ্টা মোঃ আবু বক্কর, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি দিপীকা মন্ডল, ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সমন্বয়ক এম. এ. সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন খাঁনসহ আরও অনেকে।
প্রধান অতিথি ইলিয়াস রাজ বলেন, ‘আমাদের অপেক্ষার পালা শেষ হওয়ার পথে। যেকোনো দিন, যেকোনো সময় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে সব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব যোগদান করলে প্রতিবন্ধী স্কুলের এমপিও ভুক্তিকরণের অনুমোদন পাওয়া যাবে। এতদিনের আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল আমরা ঘরে তুলতে পারবো, শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটবে এবং তারা বেতন পাবেন। শিক্ষকরা আরও পূর্ণ উদ্যমে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিকভাবে পাঠদানে উৎসাহিত হবেন।’
ইলিয়াস রাজ আরও বলেন, ‘সমাজে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং শিক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকরা আজও অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার। বিনা বেতনে সেবা দিতে দিতে তারা দুঃখ-কষ্টে দিনযাপন করছেন। বর্তমান সরকার বিষয়টি অনুধাবন করে স্কুলগুলোকে সরকারিকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।’
খুলনা বিভাগে মোট ৩৩২টি প্রতিবন্ধী স্কুল রয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারী মিলিয়ে সংখ্যা ৬৬৪০ জন। জেলা ১০টির সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এই বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় শিক্ষক, কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং জমিদাতাসহ স্কুল প্রতিষ্ঠাকালীন ওয়ারিশগণসহ মোট এক হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন।