বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলের ১২তম বোর্ড সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক মো. আমীর হোসেন সভায় বলেন, কেন্দ্রীয় তহবিল হতে এ পর্যন্ত গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের ৮৩ কোটি ৭১ হাজার ৯৭২ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯২০ জন মৃত শ্রমিকের স্বজনদের এবং মৃত্যু বীমা দাবি বাবদ ৭৮ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৬৮৫ জন অসুস্থ শ্রমিককে এক কোটি ৯৬ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা এবং শ্রমিকদের ৫৩৫ জন মেধাবী সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় এক কোটি ৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৬ সালের জুলাই হতে এ পর্যন্ত এ তহবিলে ২২৪ কোটি ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা জমা হয়েছে। বর্তমানে এ তহবিলে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা জমা রয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালে অনন্য এ তহবিল গঠন করে। পণ্য রপ্তানি মূল্যের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি এ তহবিলে জমা হয়। রপ্তানি বাড়লে এ তহবিলে অর্থ জমাও বাড়বে যেখান থেকে শ্রমিকদের আপদে বিপদে আরও বেশি সহায়তা প্রদান করতে পারবো।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, বিকেএমইএয়ের ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিকেএমইএয়ের সহ-সভাপতি মো. মোরশেদ সারোয়ার, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি, মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (১) সৈয়দা খায়রুন নাহার তামরিন এবং বিজিএমইএয়ের প্রতিনিধিসহ কেন্দ্রীয় তহবিলের কর্মকর্তারা অংশ নেন।