নিহতদের স্বজনরা দুপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে তাদের শনাক্তকরণ শুরু করেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
শনাক্ত হওয়া লাশের মধ্যে ৩৮ জনকে রাত ৯টার মধ্যে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩৬ জন হলেন- আরাফাত, শাহাদৎ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, এনামুল হক কাজী, মোশারফ হোসেন, কামাল হোসেন, সিদ্দিক উল্লাহ, ওয়াসী উদ্দিন, সাঈদ কবির, জুম্মন, আলী হোসেন, ইয়ামিন খান রনি, মোরশেদ আলম, মিঠু, সজিব, হাফেজ মো. কাওসার, আবদুর রহিম ওরফে দুলাল, মাহির, সোনিয়া, আবু বকর সিদ্দিক, ইমতিয়াজ ইমরোজ রাসু, মাসুদ রানা, মাহাবুবুর রহমান রাজু, আশরাফুল হক রাজন, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ আলী, অপু রায়হান, জসিমউদ্দিন, মো. রাজু, মো. নয়ন খান, আয়েশা খাতুন, আনোয়ার হোসেন, সিয়াম আরাফাত, মুজিবুর হাওলাদার, আলাউদ্দীন মাহি ও নুর হোসেন।
ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা বলেন, তারা ক্রমান্বয়ে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করছেন। লাশ দাফনের জন্য সরকার ২০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পুরান ঢাকার চকবাজারে বুধবার রাতে রাসায়নিকের গুদাম ও পাশের চার ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৬৭ ব্যক্তি নিহত এবং প্রায় ৪১ জন আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাসেল সিকদার বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ইউএনবিকে জানান, ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ৬৭টি লাশ উদ্ধার করেছে।
ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজাও জানিয়েছেন, ৬৭টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভবনগুলো থেকে ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সেই সাথে আহতের মধ্যে ১১ জন ঢামেক হাসপাতালে মারা গেছেন বলে রাসেল সিকদার বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে ইউএনবিকে জানান।