তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে ‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ-২০২০’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ছয়টি মহাদেশ জুড়ে ৩০টির অধিক আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের স্টার্টআপগুলোকে তোলে আনার জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে।
মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স করপোরেশন ও ই-জেনারেশন যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও স্টার্টআপ খাতকে সহায়তা দিতে বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ‘প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার এখনই সময়।’
তিনি আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কারণে বিগত ১১ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন।’
অনুষ্ঠানে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ই-জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফর ডাবল ডিজিট গ্রোথ’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, স্টার্টআপ ও ভেঞ্চার ক্যাপিটালসুলভ ইকোসিস্টেম তৈরি করার লক্ষ্যে ভিশন-২০২৫ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রত্যেক্ষভাবে ১০ লাখ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের চেয়ারম্যান ও পেগাসাস টেক ভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনিস উজ্জামান বলেন, পেগাসাস বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘আমরা ইতোমধ্যে সহজডটকম, আজকের ডিল, বাগডুম, হ্যান্ডিমামা এবং ডিজিকনে বিনিয়োগ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ আঞ্চলের বিজয়ীকে সিলিকন ভ্যালিতে নিয়ে যাব এবং বিশ্বব্যাপী থাকা প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে তুলতে পরামর্শ প্রদান করব।’
দেড় শতাধিক আবেদনকারীর মধ্য থেকে বাছাই করা শীর্ষ আট প্রতিষ্ঠান আঞ্চলিক ইভেন্টের ফাইনালে অংশ নেয়।
বাছাইকারী আট প্রতিষ্ঠান হলো- অ্যাল্টারইউথ, কুকআপস, গাজে, পার্কিং কই, পোশাপেটস, সিগমাইন্ডডটআই, তরুন ডিজিটাল এবং ট্রাক লাগবে।