সাত আন্তসীমান্ত নদীর পানির প্রবাহের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ উপাত্ত সমন্বয়ের বিষয়টি দ্রুত করতে আমরা সম্মত হয়েছি, যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সম্ভব হলে এ বছরের মধ্যে পানিবণ্টনের চুক্তিটি চূড়ান্ত করা যায়।’
রাজধানীতে এক সেমিনারে দেয়া বক্তব্যে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা বলেন, উভয় দেশের মানুষের যাতে উপকার হয় সে জন্য অন্য অভিন্ন নদীগুলোর পানিবণ্টনের বিষয়টিও এগিয়ে নেয়া যেতে পারে।
তিস্তা ইস্যুতে শ্রিংলা বলেন, এ বিষয়ে তাদের সরকারের প্রতিশ্রুতি কমছে না।
তিনি উল্লেখ করেন যে চুক্তিটি কেবল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা যেতে পারে। ‘আমরা অবশ্যই আপনাদের আশ্বাস দিতে চাই আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চুক্তিটি করার জন্য কাজ করছি।’
শ্রিংলা অভিন্ন নদীর পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বলেন, ‘আমি জানি যে এ সমস্যাটি আমাদের উভয় দেশেই কতটা সংবেদনশীল, আমরা উভয়ই ঘনবসতিপূর্ণ সমাজ এবং আমাদের ভৌগলিক জীবন-যাপন নদীগুলো ওপর নির্ভরশীল।’
তিনি বলেন, ‘এটি প্রমাণিত যে ৫৪ অভিন্ন নদীর পানির পরিবেশবান্ধব, টেকসই এবং ন্যায্য বণ্টন করার মধ্যেই আমাদের বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ নিহিত।’
‘আমি খুবই আনন্দিত যে আমাদের দুই পক্ষই স্বীকার করে, অভিন্ন নদী বিষয়ে আমাদের আরও উন্নতির সুযোগ আছে এবং এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গত বছরের আগস্ট থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে সংলাপ শুরু হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।