ভারতে চিকিৎসা করতে গিয়ে গত ১৪ মে থেকে নিখোঁজ রয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।
তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ বলেন, ‘তিনি কোথায় আছেন তা এখনো জানা যায়নি। ১৪ মে (মঙ্গলবার) পর পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।’
তিনি আরও বলেন, 'গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান আনার। ১৪ মে পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন তিনি। এরপর থেকে তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটিতেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে যান এমপি আনারের স্ত্রী ও মেয়েরা।
আব্দুর রউফ জানান, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে।
এদিকে এমপি আনারকে খুঁজতে ভাতিজা সাইমন ও আরও তিনজন ভারতে গিয়েছেন। কিন্তু রবিবার বিকাল পর্যন্ত তারা কোনো খোঁজ পাননি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আনার তার ম্যানেজারকে ৪ লাখ ২০ হাজার রুপি পাঠাতে বলেন। সে সময় কয়েকজন ভারতীয় বন্ধুর সঙ্গে প্রাইভেটকারে করে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি।
টাকা পাঠানোর পর থেকে এমপি আনারের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা।
রবিবার বিকালে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম জানান, ভারত যাওয়ার পরদিন এমপির সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি কিছুই জানতেন না।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, এমপির পরিবার ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে দলীয় হাইকমান্ডকে জানানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান বলেন, এমপি আনারের নিখোঁজের বিষয়টি কালীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা ও জনপ্রতিনিধিরা মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাটি অন্য দেশের, তাই আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের নিখোঁজের বিষয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ঠিক কী ঘটেছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।