চীনের সাংহাইয়ের সেনজিয়া শিপইয়ার্ডে ঐতিহ্যবাহী রীতিতে জাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আধুনিক সমরাস্ত্রের পাশাপাশি জাহাজ দুটিতে রয়েছে সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা, সন্ত্রাস ও জলদস্যু দমন এবং চোরাচালান বিরোধী নানাবিধ অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা।
এছাড়া, জাহাজ দুটি দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি, দূর্যোগকালীন জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা, সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ বর্তমান সরকারের ব্লু-ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
নৌবাহিনীর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানান, ‘আধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১১২ মিটার এবং প্রস্থ ১২.৪ মিটার যা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম।’
জাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী।
এছাড়া, সহকারী নৌ-প্রধান (পার্সোনেল) রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং চীনের নৌবাহিনীর ইষ্টার্ণ ফ্লিটের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট রিয়ার এডমিরাল বাই ইয়াওপিংসহ দুই দেশের নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যুদ্ধজাহাজ দুটি আগামী মাসে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।