চীনা জাতির মহান জাতীয় পুনর্জাগরণের স্বপ্ন ও সোনার বাংলা স্বপ্ন পরস্পর সম্পর্কিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, ‘আসুন, একসঙ্গে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাত মেলাই।’
লি জিমিং বলেন, পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নকে শক্তিশালী করবে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি এক হাজার ৪৯৩ মিটার দীর্ঘ সেতুটির উদ্বোধন করেন। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেতুটি বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ পরিকল্পনার মেলবেন্ধনের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দ্বারা বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, সেতুটি কঁচা নদীর উভয় পাড় তথা খুলনা ও বরিশালকে সরাসরি সংযুক্ত করেছে এবং নির্মাণাধীন মোংলা ও পায়রা বন্দরের মধ্যে স্থল পরিবহনের পথ খুলে দিবে।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, বন্ধুত্বের এমন মূল্যবান ঐতিহ্যকে অব্যাহত রাখতে চীন নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের দৃঢ় সংকল্প নিয়েছে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য নেতৃত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ তার দ্রুত এবং অবিচলিত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে এবং স্বল্পোন্নত দেশের বিভাগ থেকে উতরে যাচ্ছে।
চীনা এই রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করছে এবং শক্ত হাতে পুনরুদ্ধার করছে। উপমহাদেশ থেকে বাংলাদেশের উত্থান প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ব।’
আরও পড়ুন: অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ৪ সেপ্টেম্বর