সোনার বাংলা
চীনের পুনর্জাগরণের স্বপ্ন ও সোনার বাংলার স্বপ্ন সম্পর্কিত: রাষ্ট্রদূত
চীনা জাতির মহান জাতীয় পুনর্জাগরণের স্বপ্ন ও সোনার বাংলা স্বপ্ন পরস্পর সম্পর্কিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, ‘আসুন, একসঙ্গে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাত মেলাই।’
লি জিমিং বলেন, পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নকে শক্তিশালী করবে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি এক হাজার ৪৯৩ মিটার দীর্ঘ সেতুটির উদ্বোধন করেন। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেতুটি বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ পরিকল্পনার মেলবেন্ধনের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দ্বারা বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, সেতুটি কঁচা নদীর উভয় পাড় তথা খুলনা ও বরিশালকে সরাসরি সংযুক্ত করেছে এবং নির্মাণাধীন মোংলা ও পায়রা বন্দরের মধ্যে স্থল পরিবহনের পথ খুলে দিবে।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, বন্ধুত্বের এমন মূল্যবান ঐতিহ্যকে অব্যাহত রাখতে চীন নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের দৃঢ় সংকল্প নিয়েছে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য নেতৃত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ তার দ্রুত এবং অবিচলিত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে এবং স্বল্পোন্নত দেশের বিভাগ থেকে উতরে যাচ্ছে।
চীনা এই রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করছে এবং শক্ত হাতে পুনরুদ্ধার করছে। উপমহাদেশ থেকে বাংলাদেশের উত্থান প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ব।’
আরও পড়ুন: অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ৪ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশ কখনও ঋণের ফাঁদে পড়বে না: চীনা রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করার আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার সকালে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এই দেশটা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। তিনি শুধু একটা ভূখণ্ড দিয়ে যান নাই- জাতির পিতা হিসেবে যা যা করার, তিনি তা করেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের পক্ষে ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাতিসংঘসহ পৃথিবীর বড় বড় সকল সংস্থার সদস্যপদ অর্জন করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসের মাথায় তিনি আমাদের একটি শক্তিশালী সংবিধান দিয়ে গেছেন।’
ড. মোমেন বলেন, ‘এসব সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য। শুধু তাই নয়- তিনি আমাদের একটি স্বপ্ন দেখিয়েছেন- সোনার বাংলার স্বপ্ন। একটা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি গড়ে তোলার স্বপ্ন। এখন আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারকে সতর্ক করেছে সরকার: মর্টার শেল ছোড়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে বিজয় দিবস উদযাপিত
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার শপথ নিয়ে ৫১তম বিজয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নতুন শক্তিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেন সর্বস্তরের মানুষ।
৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বরের গৌরবময় দিনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭১ সালের এই দিনেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জয়ের
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক বার্তায় জয় বলেন, ‘বিজয়ের মাসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াই হোক আমাদের সকলের প্রত্যয়।’
তিনি বলেন, ‘বিজয়ের মাসের শুরুতে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদকে। একই সঙ্গে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে, যাদের নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার কাছে হেরে গিয়েছিল বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী; অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, বিজয়ের ৫০তম বছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। জাতি হিসেবে যা আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ইতোমধ্যেই আমরা সফলভাবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছি। সামনে আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানায় খালেদা জিয়া: জয়
আ. লীগ একটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক আন্দোলন: পরিকল্পনামন্ত্রী
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাতীয় ঐক্যের জন্য মতভেদ দূর করুন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িকতা ও অগণতান্ত্রিক চর্চার বিরুদ্ধে শক্তিশালী জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
বুধবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের দুই দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি রাজনৈতিক দল-মত নির্বিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সংস্কৃতি গড়ে তুলে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর গৌরবময় অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণ অনুমোদন
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন সক্রিয়ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আব্দুল হামিদ বলেন, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা দমনের লক্ষ্যে সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতি দেশে স্বস্তি এনেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা, নাগরিক সনদ এবং সততা কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক সমন্বয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একটি যোগ্যতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্যে সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, তার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডিকে শক্তির উৎসে রূপান্তরিত করে জনগণের উন্নতি করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে আমার বাবার স্বপ্নের মতো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। ইনশাআল্লাহ, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে পূর্বে রেকর্ড করা ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার স্বপ্ন পূরণে তিনি তাঁর বাবার আদর্শ অনুসরণ করছেন। তিনি (বঙ্গবন্ধু) এদেশের মানুষের জন্য তাঁর রক্ত দিয়েছেন এবং আমাদের সবাইকে তাঁর রক্তের কাছে ঋণী করে গেছেন। আমাদের রক্তের এই ঋণ শোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। কেউ দারিদ্র্যের শিকার হবে না এবং কেউ ভূমিহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা নিশ্চিত করেছে এবং শিক্ষার আলো প্রতিটি ঘরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবকিছু হারানোর দিন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতা এবং বাঙালির বিজয় চায়নি তারা জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কিছু লোক বিশ্বাসঘাতক এবং ভণ্ড ছিল। এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কোন কল্পকাহিনী নয়, ভিশন ২০৪১ হলো সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবার একটি পরিকল্পনা।
বৃহস্পতিবার রিয়াদ দূতাবাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কোন কল্পকাহিনী নয়, ভিশন ২০৪১ হলো সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবার একটি পরিকল্পনা। যে দেশের অর্থনীতিকে এক সময় ‘’তলাবিহীন ঝুড়ি’’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল আজ সে দেশের অর্থনীতি বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের ভিশন ২০২১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল মন্ত্র হিসেবে গত এক দশকে দেশের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ভিশন ২০৪১ হাতে নেয়া হয়েছে যা আগামী দুই দশকে উন্নত বাংলাদেশ তথা সোনার বাংলা গড়ায় অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে শিগগরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সৌদি আরব বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার। সৌদি আরবের সাথে শ্রমবাজার কেন্দ্রিক সহযোগিতার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে যা সম্পর্কের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। সোনার বাংলাকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে আমরা আমাদের সহযোগিতার ভিত্তিকে সহজেই শ্রমবাজার থেকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে রুপান্তর করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ৫ মিলিয়ন টিকা কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সৌদি আরব ব্যবসা, অর্থনীতি ও বিনিয়োগের সুযোগ সংস্কার করেছে যা কাজে লাগিয়ে আমাদের অনেক অভিবাসীরা সেখানে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১৭০টি দেশে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স করোনা মহামারি কালীন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। অভিবাসীদের সুবিধার্থে সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ ও সৌদি ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এন হিজ্জি। ওয়েবিনার পরিচালনা করেন দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এস এম আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতরা ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। এছাড়া রিয়াদে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
৩ বছর আগে
সোনার বাংলা গড়ার পথে অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি: একে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কথা জানালেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘বৈঠক’ অ্যাপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের নিজস্ব কারিগরি কুশলতায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনায় ‘বৈঠক’ অ্যাপটি, জুম বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশী সাহায্য নির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় নির্ভর অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে চলেছি দুর্বার গতিতে। সেজন্য প্রয়োজন কৃষি, শিল্প, সেবা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল খাতে আমাদের সাফল্যের ধারা বজায় রাখা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বের কাছে স্বীকৃত এবং এ বিষয়ে সম্প্রতি ১৪৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
দেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্ভাবনা আছে, সম্পদ আছে এবং স্পৃহা আছে। আছে সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে ও এক লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এখন বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। ১৬ কোটির উপর মানুষ আজ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টর থেকে প্রতি বছর আমরা এক বিলিয়ন ডলার আয় করছি। ২০২৫ এর মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার পাশাপাশি জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া আমাদের লক্ষ্য। আর এই সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হচ্ছে এবং সেই পথে এগিয়ে যাবার একটি চমৎকার উদাহরণ এই ‘বৈঠক’ প্লাটফর্ম। তথ্যপ্রযুক্তির নতুন নতুন মাত্রার সাথে সামিল হতে আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন এখনই দরকার।
তিনি বলেন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল কর্মযজ্ঞে, সকল বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যদি আমরা সঠিকভাবে করতে না পারি, তবে এর বহুমাত্রিক উপযোগিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হব এবং এর খেসারত দিবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
২০৪১ সালের আগেই দেশ হবে 'সোনার বাংলা': তথ্যমন্ত্রী
দেশের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের আগেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করার দুঃসাহস নেই: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শুক্রবার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করার দুঃসাহস আমাদের নেই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার মাধ্যমে তার প্রতি সম্মান জানানো হবে।
৩ বছর আগে