এক সংলাপে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে মৎস্য ও জলজ প্রাণি চাষের ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়গুলোর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে।
তারা বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের (ঐতিহ্যবাহী) করা মৎস্য ও জলজ প্রাণি চাষ দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় মূল্যবান অবদান রাখে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে জেলে সম্প্রদায়ের সহায়তা প্রয়োজন।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আর্টিসানাল ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০২২ আন্তর্জাতিক বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘দেশের মৎস্য খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিনিধিত্বে এ বছর এই আয়োজন করা হয়।
তারা বলেন, বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ক্ষুদ্র আকারের মৎস্য ও জলজ চাষের ওপর নির্ভরশীল।
তারা আরও বলেছে যে বাংলাদেশের সামুদ্রিক আহরণের প্রায় ৯০ শতাংশই ছোট বা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে আসে।
বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীরা দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিতে অমূল্য অবদান রাখে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে মৎস্য শিকারী সম্প্রদায়কে সাহায্য করার লক্ষ্যে এফএও মৎস্য খাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মৎস্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এফএও-এর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার নরম্যান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন; মৎস্য ও জলজ প্রাণি আহরণের ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়ের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।’
তিনি বলেন, ‘সক্ষমতা উন্নয়ন ও নীতি সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে এফএও এই সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে সাহায্য করছে, যাতে তারা আরও ভালভাবে (এই পরিস্থিতি) মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।’
বক্তারা বলেন, পৃথিবীর ৪৯২ মিলিয়ন মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো না কোনোভাবে ছোট আকারের মৎস্য চাষের ওপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও সহায়তার আহ্বান মোমেনের
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী