জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা মোকাবিলায় প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি বাড়ানোর জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
সোমবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ক্লাইমেট পার্লামেন্টের বাংলাদেশের নবগঠিত কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কমিটির চিফ প্যাট্রোন-এর বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু পরিবেশগত সমস্যা নয়; এটি একটি অস্তিত্বের সংকট যা জরুরি এবং ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের দাবি রাখে।
তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি আমাদের কর্মকাণ্ডের ফলাফল আমাদের গ্রহ এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়ে আজ মানবতার সামনে আর কোনো বড় হুমকি নেই এবং এর প্রভাবের জন্য গ্রাউন্ড জিরো হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের সমাধান খুঁজতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমাদের অবশ্যই এ চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হওয়ার জন্য সব সেক্টরের লোকদের একত্রিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব জলবায়ু কর্মকাণ্ডে আমাদের সাফল্য থেকে শিক্ষা নিতে চায়। তারা বুঝতে চায় কীভাবে সম্প্রদায়ভিত্তিক অভিযোজন কৌশলগুলো কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আসুন আমরা সকলের জন্য একটি টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের দিকে এই যাত্রা শুরু করি।‘
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং টেকসই সমাধান পরিচালনায় জলবায়ু সংসদের মতো প্ল্যাটফর্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
এ সময় বিশ্বব্যাপী জলবায়ু স্থিতিস্থাপক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে নবগঠিত কমিটির যৌথ দক্ষতা এবং সংস্থানগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু সংসদের নতুন কমিটির ঘোষণা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে ছিলেন- স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, জলবায়ু সংসদের চেয়ারপারসন তানভীর শাকিল জয় ও আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক, অন্যান্য সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক ও পরিবেশ কর্মীরা।