তিনি বলেন, ‘জলবায়ুর প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে বাংলাদেশে যেসব কাজ হয়েছে তা বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় এক উদাহরণ। বাংলাদেশকে সমর্থন করতে পেরে যুক্তরাজ্য গর্বিত।’
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক পরিবেশমন্ত্রী লর্ড গোল্ডস্মিথ সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘ভার্চুয়াল সফরে’ আসেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ দেশের অভিযোজন ও স্থিতিশীলতা তৈরিতে যুক্তরাজ্যের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য ও জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়ছে তা দেখেছেন এবং ক্রমবর্ধমান বন্যার প্রভাবে গ্রামীণ ও শহর উভয় অঞ্চলের মানুষের গৃহহীন হয়ে পড়া অবলোকন করেছেন।
এসব হুমকি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে এমন পরিবেশ-ভিত্তিক সমাধানের জন্য কাজ করার কথা বলেন ব্রিটিশ এ মন্ত্রী।
তিনটি প্রধান নদীর বদ্বীপে অবস্থিত এবং ঘনবসতির বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এখানকার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মুখে রয়েছে এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব খুবই ভয়াবহ।
ভার্চুয়াল এ সফরকালে লর্ড গোল্ডস্মিথ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ হোসেন এবং বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনও এতে অংশ নেন।