পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ খাতে বাংলাদেশ-নরওয়ে সম্পর্ক জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বনজ সম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট মূল বিষয়গুলোতে আগামী দিনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কার্যালয়ে নরওয়ের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সভেন্ডসেন বিদায়ী সাক্ষাৎকালে পরিবেশমন্ত্রী এই কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে তার অবদানের প্রশংসা করেন সাবের হোসেন।
তিনি বলেন, তার মেয়াদকালে, বাংলাদেশ-নরওয়ে সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হয়েছে এবং এটি আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো আরও প্রসারিত করার জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি গড়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড বিতরণ নিশ্চিতের উপায় বের করার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
এছাড়াও নবায়নযোগ্য শক্তি, বন সংরক্ষণ এবং জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করেন মন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত রিক্টার-সভেন্ডসেন বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং এর সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টার জন্য নরওয়ের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বৈশ্বিক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের পরিবেশগত উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য নরওয়ের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
উভয় পক্ষ তাদের পারস্পরিক পরিবেশগত লক্ষ্যগুলোকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর এবং অংশীদারত্বের নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হন। উভয় দেশ পরিবেশ এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। যা উভয় দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃক্ষ নিধন পরিহারের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
৩ মাস আগে
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃক্ষ নিধন পরিহারের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যথাসম্ভব বৃক্ষ নিধন পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় জায়গা থাকলে অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নকারী প্রকল্প পরিচালক কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কর্মসম্পাদনে সফলতা বিবেচনায় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-'২৫ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থবছরের শুরুতেই কর্মপরিকল্পনা করে সেই মোতাবেক কাজ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতার হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করতে হবে। মন্ত্রী প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা, অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
৩ মাস আগে
বাংলাদেশকে ‘সবুজ দেশে’ রূপান্তরে জাপানের সহযোগিতা চান পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা ও তারপর সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (এমসিপিপি) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বৈশ্বিক সহযোগিতার বাড়ানোর আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে আগামী এনডিসি ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন গ্যাস হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন পরিবেশমন্ত্রী। এ বিষয়ে গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দেশটির সহায়তা কামনা করেন তিনি।
তিনি প্রস্তাব করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্মের (এপি-প্ল্যাট) মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।
উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপাক্ষিক আলোচনা, যেমন: জীববৈচিত্র্য-সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি), জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমব্যাটিং ডেজার্টিফেশনের (ইউএনসিসিডি) পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় প্লাস্টিক চুক্তি ও অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে দুই দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক সই করে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।
পরে মন্ত্রী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সঙ্গে একটি বৈঠক করেন ও বড় ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবিলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এ বিষয়ে জাতীয় আইনগুলো উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
৪ মাস আগে
ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রয়োজনে জাতিসংঘকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মুহাম্মদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ ও হিমবাহ গলার মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য অস্ত্বিত্বের সংকট।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন।
এসব সিস্টেম দেশের দুর্যোগের প্রস্তুতি ও স্থিতিস্থাপকতাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করেছে, যা অন্যান্য জাতির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করছে।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব, চলমান সংঘাত ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন উপমহাসচিব ও পরিবেশমন্ত্রী। এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তা কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী
এই বাধা অতিক্রম করতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো মোকাবিলা এবং সবুজ রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য কনফারেন্স অব পার্টিগুলোতে কীভাবে বৈশ্বিক দক্ষিণের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করা যায় তাও তারা আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে আরও তহবিল সুরক্ষিত করার বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।
৪ মাস আগে
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বৈশ্বিক সহযোগিতার বাড়ানোর আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসন ও পরিবেশগত অবনতির জটিল সমস্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সংহতির গুরুত্ব তুলে ধরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জলবায়ু ন্যায়বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বেলজিয়ামের লিজ শহরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট মোবিলিটিস নেটওয়ার্কের (ইসিএমএন) দ্বিতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ‘কলোনাইজিং দ্য ফিউচার: ক্লাইমেট জাস্টিস, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অন্যতম কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হলেও এটি বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য একটি হুমকি। এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে ১৭ শতাংশ উপকূলীয় এলাকা তলিয়ে যেতে পারে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বাড়লে ৪০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
কপ আলোচনায় বাংলাদেশের প্রথম সারির ভূমিকা, বিশেষ করে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলার বিষয়ে প্রশংসা করেন প্যানেলিস্টরা। বৈশ্বিক আর্থিক ও গভর্নিং মেকানিজমের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও কথা বলেন তারা।
এছাড়াও উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা, আস্থা পুনর্গঠন এবং একটি ন্যায্য, আরও গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক শাসনের কথা তুলে ধরেন প্যানেলিস্টরা।
বেলজিয়ামের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও গবেষক ফ্রাঁসোয়া গেমেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ এবং লেখক ডেভিড ভ্যান রেইব্রুক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের মহাসচিব ও মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন স্যান্ড্রিন ডিক্সন-ডেক্লেভ, ক্লাব অব রোমের সহসভাপতি এবং আর্থ ৪অল-এর নির্বাহী পরিচালক এবং সেন্ট্রাল ইউরোপের ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্যাটারিনা সেফালভায়োভা।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইইউতে মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৪ মাস আগে
জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, এ যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশের অভিযোজন কৌশলকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পগুলোর জন্য অতিরিক্ত তহবিল নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
রবিবার (৭ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
বৈঠকে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি চূড়ান্তকরণে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জাতীয় অগ্রাধিকারগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বরাদ্দ বিভাজনের অনুরোধ জানানো হয়। বাস্তবায়ন পর্যায়ে বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ফরাসি প্রতিনিধি দল।
চুক্তির সময়সীমা সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে আগস্ট ২০২৮ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
আলোচনায় একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যযুক্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
২০২৪ সালের জন্য ৪ মিলিয়ন ইউরোর প্রথম কিস্তি নিশ্চিত করতে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিক প্রকল্প জমা দেওয়ার অনুরোধ করে। প্রাথমিক তহবিল পেতে ন্যাপের 'ইকোসিস্টেম, ওয়েটল্যান্ড ও জীববৈচিত্র্য' খাতের অধীনে প্রকল্প ধারণা জমা দেবে মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে সুন্দরবন পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রকল্পগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ম্যানগ্রোভ রোপণ এবং কমিউনিটিভিত্তিক বন অগ্নি ব্যবস্থাপনা।
এছাড়াও, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর জলবায়ু নীতি ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফরাসি সরকার।
বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) লুবনা ইয়াসমিন এবং ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সিসিলিয়া কর্টেজসহ মন্ত্রণালয় ও ফ্রান্সের দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
৪ মাস আগে
বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে হলে অনতিবিলম্বে সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করা হয়, তাই প্রতিদিনই পরিবেশ দিবস বিবেচনা করে বছরব্যাপী চালাতে হবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্মার্ট নাগরিক গড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার (৩ জুলাই) পরিবেশ অধিদপ্তরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। একটি সবুজ, সুন্দর ও সুস্থ পৃথিবী আমাদের সকলের প্রাপ্য।
পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশের সুরক্ষায় এগিয়ে আসি এবং আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিদ্দিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং পরিবেশ মেলার শ্রেষ্ঠ স্টলের প্রতিনিধিদের পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
৪ মাস আগে
পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
কারিগরি সহায়তা, অর্থায়ন ও নীতি নির্দেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (দক্ষিণ-মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া) ইংমিং ইয়াং।
জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এডিবির এই কর্মকর্তা এ আশ্বাস দেন।
এসময় তারা টেকসই পরিবেশ, জলবায়ু সহনশীলতা, বাতাস ও সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ, কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুনীল অর্থনীতির ওপর আলোকপাত করে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চলমান ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় পক্ষই এই অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশের দূষণের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অব্যাহত সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা ও টেকসই উন্নয়ন গড়ে তুলতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এক্ষেত্রে এডিবির সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে পড়বে: এডিবি প্রেসিডেন্ট
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা বিশাল এবং বহুমুখী। আমাদের লক্ষ্য পূরণে বলিষ্ঠ আর্থিক ব্যবস্থা, উন্নত প্রযুক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রয়োজন। এডিবির সঙ্গে এই সহযোগিতা আমাদের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সংস্থান ও বিশেষজ্ঞ সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।’
বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের স্বপ্ন দেখেছেন সাবের। তিনি বলেন, 'একসঙ্গে আমরা উদ্ভাবনী সমাধানগুলো খুঁজে বের করতে পারি, আমাদের অভিযোজিত ক্ষমতা বাড়াতে পারি। আমাদের উন্নয়নের গতিপথ সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উভয়ই নিশ্চিত করতে পারি।’
তিনি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বলেন, 'আমরা আপনাদের সমর্থনকে মূল্য দেই এবং একটি টেকসই ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সহযোগিতা গভীর করার প্রত্যাশা করছি।’
মন্ত্রী এডিবির সহায়তার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে এডিবি ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের বিষয়টি তুলে ধরা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে এডিবিকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের তাৎপর্য তুলে ধরে কানাডার নেতৃত্ব ও সহায়তার প্রশংসা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছেন। এসময় অভিজ্ঞতা বিনিময়, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং যৌথ প্রকল্পের সম্ভাবনার উপরও জোর দেন পরিবেশমন্ত্রী।
সোমবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন নিয়ে আলোচনা করেন তারা। উভয় পক্ষই পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু কূটনীতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী ন্যাপ ও এমসিপিপির উচ্চাভিলাষী জলবায়ু এজেন্ডা বাস্তবায়নে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গ্রাউন্ড জিরো হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা এবং বৈশ্বিক সংহতি ও সহমর্মিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সম্প্রদায়ের বোঝা কমাতে আচরণগত পরিবর্তন, স্থানচ্যুতি এবং বিকল্প জীবিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান পরিবেশমন্ত্রী।
মন্ত্রী ব্লকচেইন, আইওটি, এআই এবং বিকল্প জলবায়ু প্রযুক্তির মতো ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন। এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা এবং এমসিপিপিতে বেসরকারি খাতের ব্যস্ততা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ভবিষ্যতে কপসে কানাডা-বাংলাদেশ জলবায়ু অংশীদারিত্ব এবং প্রতিনিধিত্বের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
হাইকমিশনার নিকোলস জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে সহায়তার দ্বৈততা এড়াতে খাতভিত্তিক কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কানাডার লক্ষ্যগুলো হলো- প্রযুক্তি, গবেষণা, জ্ঞান বিনিময় এবং বাণিজ্য সরবরাহ করা এবং তরুণ কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং অংশীদারিত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করা। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নেওয়া উদ্যোগসহ প্রযুক্তি হস্তান্তর, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও অভিযোজন প্রকল্পের মতো অগ্রাধিকারের কথাও উল্লেখ করেন।
হাইকমিশনার নিকোলস চিকিৎসা ও ই-বর্জ্য মোকাবিলা, বাজারের বৈচিত্র্য এবং জীবাশ্ম জ্বালানির নির্ভরতা অবসানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দেন। নিকোলস বাংলাদেশের জলবায়ু উদ্যোগের প্রতি কানাডার সমর্থন এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
উভয় পক্ষ তাদের দৃঢ় ও ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু ইস্যুতে অব্যাহত সহযোগিতার প্রত্যাশায় বৈঠকটি শেষ হয়।
আর পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
‘গাছ রোপণ করে আমরা সবুজ পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেক নাগরিকের ফলদ, বনজ ও ওষুধি গাছের যেকোনো একটি রোপণ করা উচিত।
রবিবার (৩০ জুন) ভারতীয় দূতাবাসে একটি নিম গাছ রোপণের মাধ্যমে ‘ওয়ান ট্রি৪মাদার’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু কূটনীতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে গাছ রোপণ করে, আমরা সবুজ, স্বাস্থ্য, টেকসই ও সহনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
৪ মাস আগে