জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টা সফল করতে নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর এপ্রিল পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্ব বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করার কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কর্মসম্পাদনে সফলতা বিবেচনা করে যোগ্য কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা, অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান সাবের হোসেন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতার হার পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ভালো করতে হবে।
সভায় আরও ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, প্রকল্প পরিচালক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়ন জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সারাদেশে সবুজায়ন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী
তিনি বলেন, বিশেষ করে শহরে বাড়ির ছাদসহ অন্যান্য স্থানে কিভাবে গাছ লাগানো যায়, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
সোমবার(২০ মে) মন্ত্রণালয়ের ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২২ ও ২০২৩’ পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্তকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণ অভিযান জোরদারের অংশ হিসেবে বিলুপ্তপ্রায় বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সহব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে বন ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। ফলে বন ও বনভূমি অনেক বেশি টেকসই হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বনভূমিতে ব্যাপকভাবে বনায়ন করে বনের আচ্ছাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বনভূমি উজাড় রোধে জবরদখলকৃত বনভূমি চিহ্নিত করার পর তা উদ্ধার করা হচ্ছে এবং বনায়ন করা হচ্ছে।
সাবের চৌধুরী বলেন, বন ও বনভূমি রক্ষায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বন ও বনভূমির ডিজিটাল বাউন্ডারি ম্যাপিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে বনভূমি জবরদখল চিহ্নিত করা সহজ হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, জাতীয় কমিটির সদস্য আরমা দত্ত, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানমসহ কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশ সচিব
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ন্যাপ এক্সপোর তৃতীয় দিনে 'ইমপ্লিমেন্টেশন ন্যাশনাল গাইডলাইন্স ইন আরবান লোকাল গভর্মেন্ট কনটেক্সট উইথ ইফেক্টিভ পার্টিসিপেশন: লার্নিং ফ্রম প্রাকটিসেস' শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে প্রধান প্যানেলিস্টের বক্তব্য দেন সচিব ফারহিনা।
অভিযোজন সক্ষমতায় বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশ সচিব আরও বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছে বাংলাদেশ।
ড. ফারহিনা আরও বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রাজনিত পরিস্থিতি সামাল দিতে নগর ও শহরে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সরকার প্রচুর সংখ্যক গাছ লাগাচ্ছে। জনগণকেও প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। রাজধানীতে মাটি ও পানির জলাশয়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
পরিবেশ সচিব বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন। এটি হ্রাসের লক্ষ্যে হালনাগাদ হওয়া এনডিসির লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমিয়ে আনা। আন্তর্জাতিক সহায়তায় ২০৩০ সালের মধ্যে এই হ্রাসের পরিমাণ আরও ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ হতে পারে।
জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) ড. সারোয়ার বারী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জিআই লয়েডের জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই নগর উন্নয়ন ক্লাস্টারের ক্লাস্টার সমন্বয়কারী ডানা দে লা ফন্টেইন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এম. মেহেদী আহসান।
৬ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা, তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর আলোকির দ্যা নেইবারহুড আর্ট স্পেস শালা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীবিষয়ক একক প্রদর্শনী চলমানের সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সবাইকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে শিল্পীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন প্রকার প্রদর্শনী মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে ভাবতে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সরকার।
এছাড়া দেশে ব্যাপকভাবে বনায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জনগণের জন্য অভিযোজন ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।।
তিনি আরও বলেন, সমাজের সব শ্রেণির মানুষকেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আলোকির দ্যা নেইবারহুড আর্ট স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রুক্সমিনি রিকভানা কিউ চৌধুরী, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নুরজাহান, শিল্পী, শিল্পকলা সমালোচক, এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
৭ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী দেশগুলোকে ২০৫০ সালের আগে নেট জিরো (গ্রিন হাউজ নির্গমন শূন্যের কোটায়) অর্জন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে জরুরি ও সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেবরুয়ারি) কেনিয়ার নাইরোবিতে ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে জাতীয় বিবৃতি প্রদানকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি মানবজাতির সামনে অভূতপূর্ব পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্যবদ্ধতার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে নগন্য অবদান সত্ত্বেও বাংলাদেশ হিমবাহ গলে যাওয়া, বন্যা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো বিরূপ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণগুলো নিরসনের গুরুত্ব এবং টেকসই স্থাপনার লক্ষ্যে আরও বেশি বহুপক্ষীয় প্রতিশ্রুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের পরিবেশগত দায়িত্বের প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ‘পৃথিবীর জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নকে প্রচারের লক্ষ্যে 'মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা' গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে পরিবেশ সংরক্ষণের নীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের আন্তরিকতার প্রমাণ দেন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী প্লাস্টিক দূষণকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ে প্লাস্টিকের বর্জ্য মোকাবিলা এবং টেকসই ভোগ ও উৎপাদন পদ্ধতিতে রূপান্তরের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিবেশগত শাসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইউএনইএ-৬ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সবুজ, আরও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইউএনইএ-৬ এর সভাপতি লেইলা বেনালি, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, প্রতিনিধি ও বিশ্ব নেতারা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
তিনি বলেন, এই টাকা পর্যাপ্ত নয়, আরও অর্থায়ন প্রয়োজন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের টাকা কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরীবাগে তার বাসভবনে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় জাতীয় বন জরিপের উদ্বোধন করলেন পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা পাবে তা নিয়ে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার উপায়, অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে জাতিসংঘ।
লুইস বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অ্যাডভোকেসি, বন্যা মোকাবিলা, কমিউনিটি অ্যাডাপটেশন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতিসংঘের উন্নয়ন সমন্বয়ক কর্মকর্তা ও কৌশলগত পরিকল্পনাকারী লুইস।
বৈঠকে জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং প্লাস্টিক দূষণের মতো গুরুতর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়।
পরিবেশ সংরক্ষণে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন লুইস ও সাবের হোসেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ ও জলবায়ু মোকাবিলার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৮ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই: মিউনিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব, সমষ্টিগত পদক্ষেপ ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যাপ্ত তহবিল যোগানের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য তহবিলের যোগান ক্রমেই কমে আসছে। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন ও সহনশীলতা অর্জনে এ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।’
জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্ষিক আন্তুর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠক হিসেবে আয়োজিত 'কারণ ও প্রভাব: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্বিমুখী লড়াই' শীর্ষক ফোরামে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কার্বন নিঃসরণে নগণ্যতম (বৈশ্বিক নিঃসরণের শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ) দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সর্বোচ্চ হুমকির মুখে থাকা দেশগুলোর অন্যতম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবেও চিহ্নিত। 'মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান' এ ক্ষেত্রে একটি শীর্ষ পরিকল্পনা।’
আরও পড়ুন: মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মনোযোগের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে প্রধানমন্ত্রী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক উদ্যোগের কথা জানান এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি, দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, উত্তরাঞ্চলে খরা, দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সারাদেশে বন্যার প্রকোপ মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ বাংলাদেশের নীতি এবং কর্মসূচি তুলে ধরেন।
ফোরামে নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরিম, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রী মরিয়ম বিনতে মোহাম্মদ সাইদ আলমেইরি প্রমুখ আলোচকরা বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৮ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তনে ৭১ লাখ বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে শরণার্থী এবং অভিবাসী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোকে যথেষ্টভাবে মোকাবিলা করার জন্য পেশাদার দক্ষতা এবং সক্ষমতা তৈরিতে দেশ এবং অঞ্চলগুলোকে সমর্থনের লক্ষ্যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঢাকায় শরণার্থী এবং অভিবাসী স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বার্ষিক গ্লোবাল স্কুল তৃতীয় বারের মতো আয়োজন করছে।
২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের মধ্যে, নীতিনির্ধারক, জাতিসংঘের অংশীদার সংস্থা, একাডেমিয়া, সুশীল সমাজের সদস্যরা এবং গ্লোবাল স্কুলের স্টেকহোল্ডাররা সক্ষমতা-নির্মাণের মূল উপাদানগুলোকে তুলে ধরার জন্য জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে৷
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ই-লার্নিং হাইব্রিড ইভেন্টটি বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মহামারিতে মৃতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের প্রায় ৫ গুণ বেশি: ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী, বর্তমানে আট বা এক বিলিয়নের মধ্যে একজন অভিবাসী এবং ২৮ কোটি ১০ লাখ আন্তর্জাতিক অভিবাসী এবং কয়েক মিলিয়ন ব্যক্তি রাষ্ট্রহীন।
জলবায়ু পরিবর্তন, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, দ্বন্দ্ব, বাণিজ্য এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি এই প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করছে।
শরণার্থী ও অভিবাসীদের স্বাস্থ্য অধিকার এবং চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, ‘অভিবাসন এবং বাস্তুচ্যুতি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার ওপর গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত পার্থক্য, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা, কলঙ্ক এবং বৈষম্য সবই উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
‘স্বাস্থ্য কর্মীদের এই বাধাগুলো অতিক্রম করতে সহায়তা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোবাল স্কুল অন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট হেলথ হলো শরণার্থী ও অভিবাসীদের আরও ভালোভাবে সেবা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা তৈরির জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ।
যদিও সমস্ত শরণার্থী এবং অভিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত নয়, প্রায়শই তারা নির্ধারকদের একটি বিন্যাসের কারণে, জেনোফোবিয়া এবং বৈষম্য থেকে দরিদ্র জীবনযাপন, আবাসন এবং কাজের পরিস্থিতি এবং মানুষ কেন্দ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে অপর্যাপ্ত সুযোগ পায়। যা উদ্বাস্তু অভিবাসী স্বাস্থ্য চাহিদার জন্য সংবেদনশীল।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যের জন্য মানবাধিকার এমন একটি অধিকার যা সর্বত্র সকল মানুষের, বিশেষ করে উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীদের জন্য প্রসারিত। কারণ সত্যিকার অর্থে সম্মানিত, সুরক্ষিত এবং পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য একটি অধিকার অবশ্যই সর্বাধিক প্রান্তিক এবং দুর্বলদের দ্বারা সম্পূর্ণরূপে উপভোগ করতে হবে- যারা ঝুঁকিতে রয়েছে বা যারা ইতোমধ্যেই পিছনে পড়ে আছে, যার মধ্যে প্রায়শই চলাফেরা করা লোকদের অন্তর্ভুক্ত থাকে।’
প্রতি বছর ভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল স্কুলের লক্ষ্য ডব্লিউএইচও এবং সরকারগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় দেশগুলোর শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতাগুলোকে কাজে লাগানো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এ বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৭১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যা ২০৫০ সালের মধ্যে এক কোটি ৩৩ লাখে পৌঁছাতে পারে।
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু, ভারতের তৈরি সিরাপ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা
১৯৭৮ সাল থেকে দেশটি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তিনটি বড় জনস্রোত প্রত্যক্ষ করেছে। যাদের প্রত্যেকের অনন্য চিকিৎসা চাহিদা রয়েছে এবং কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে রাখা হয়েছে।
আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধুমাত্র তাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগই দেয়নি বরং সম্প্রতি কোভিড-১৯ টিকা রয়েছে। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং আইনি দুর্বলতাগুলো মোকাবিলার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টাও করেছে।’
স্বাস্থ্য ও অভিবাসন কর্মসূচির পরিচালক ডা. সান্তিনো সেভেরোনি বলেছেন, ‘বার্ষিক গ্লোবাল স্কুল অন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেন্ট হেলথ হলো ডব্লিউএইচও হেলথ অ্যান্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের একটি ফ্ল্যাগশিপ এবং প্রচারের জন্য গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের দিকে উদ্বাস্তু ও অভিবাসী স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আঞ্চলিক এবং দেশীয় অফিসগুলোর সঙ্গে ২০১৯ থেকে ২০২৩ (জিএপি) উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য কৌশলগত এবং অপারেশনাল সহযোগিতা জোরদার করার একটি সুযোগ।
সকল দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত গ্লোবাল স্কুলের লক্ষ্য হলো নীতি নির্ধারক, স্বাস্থ্য সেক্টর ম্যানেজার এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানো।
গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বেসরকারি সংস্থা, যুব প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরাও অংশগ্রহণ করেন।
ডা. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেছেন, ‘প্রতিটি প্রেক্ষাপট থেকে পরবর্তী পর্যন্ত, কোনো চ্যালেঞ্জ একই নয়, সমাধানও হবে না। তবে সকল দেশ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য গুরুতর প্রয়োজন হল এমন একটি স্বাস্থ্যকর্মী যা সুপ্রশিক্ষিত, সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল এবং যোগ্য, যা উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীদের চাহিদা, তাদের ভাষা এবং অনন্য স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতি সংবেদনশীল।’
আরও পড়ুন: অসংক্রামক রোগে প্রতি দুই সেকেন্ডে ৭০ বছরের কম বয়সী ১ জনের মৃত্যু: ডব্লিউএইচও
১ বছর আগে
শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গবেষণায় দেশের প্রথমবারের মত হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিস এবং মাছের জিনগত সম্পদের ওপর চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ করার বিষয়টি উঠে এসেছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত টেকসই মৎস্যখাত শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গবেষণাটি উপস্থাপন করা হলে তা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বেস্ট প্রেজেন্টেশন অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান ও ড. মো. আশরাফুজ্জামানের তত্ত্বাধানে পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন। ২০১৯ সাল থেকে ‘ফ্যাক্টর্স অ্যাফেক্টিং এনভায়রনমেন্টাল চেঞ্জেস এন্ড ইটস ইমপ্যাক্ট অন ওয়েটল্যান্ড ইকোসিস্টেম সার্ভিসেস, একুয়াটিকে বায়োডাইভার্সিটি এন্ড হিউম্যান ওয়েলবিং’ শিরোনামে গবেষণা কার্যক্রমের কাজ পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’: একিউআই
গবেষণাপত্র সূত্রে জানা যায়, হাওরের ইকোসিস্টেম (বাস্তুতন্ত্র) পরিসেবার মোট ২২টি উপ-শ্রেণী চিহ্নিত করা হয়েছে। ইকোসিস্টেম পরিসেবা (সার্ভিস) হল সেই সুবিধাগুলি যা মানব জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাস্তুতন্ত্রের কার্যকারিতা থেকে পায়। প্রাপ্ত ইকোসিস্টেম পরিসেবার মধ্যে ধান, মাছ, পাখি, জলজ প্রাণী, জীববৈচিত্র্য, মাটি গঠন, পুষ্টি চক্র চালানো, পলল ধারণ, প্রাথমিক উৎপাদন, পানি প্রবাহ, পানি পরিশোধন, শিক্ষা, গবেষণা, পর্যটন, কালোমাটি, জ্বালানি কাঠ, বালি, পাথর ইত্যাদি অন্যতম।
পিএইচডি গবেষক আতিকুর রহমান সানী বলেন, ‘বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) বিভিন্ন পরিবেশগত পরামিতিগুলির উপর ৩৬ বছরের তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে গবেষণাটি হাওর অঞ্চলের পরিবেশগত পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করে। এছাড়াও অক্টোবর ২০১৯ থেকে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত হাওর-নির্ভর জনসংখ্যার মতামত ও পানির গুণাগুণ পরীক্ষার মাধ্যমে এই অঞ্চলের পরিবেশগত পরিবর্তনগুলি আরও গভীরভাবে যাচাই করা হয়েছে। তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা ইত্যাদির মতো পরিবেশগত পরিবর্তনের ডাটা বিশ্লেষণ বছরের পর বছর ধরে যথেষ্ট ওঠানামা দেখায় যা হাওরের উৎপাদনশীলতা এবং পরবর্তীতে হাওর ইকোসিস্টেম সার্ভিস সরবরাহকে প্রভাবিত করতে পারে।’
তিনি আরও জানান, পরিবেশগত কারণগুলো ছাড়াও বিভিন্ন মানবসৃষ্ট কারণ যেমন অবৈধ মাছ ধরা এবং সম্পদের অতিরিক্ত আহরণ, লিজ ব্যবস্থাপনা ইকোসিস্টেম সার্ভিসের গুণগতমান এবং পরিমাণকে আরও খারাপ করতে পারে বলে গবেষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই অঞ্চলে জনগোষ্ঠী ও জীববৈচিত্রের উন্নয়নের জন্য ইকোসিস্টেম সার্ভিসের প্রবাহ বজায় রেখে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য নীতি নির্ধারকদের প্রয়োজনীয়তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
সার্বিক বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পেছনে হাওরের অনন্য অবদান রয়েছে। বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও হাওর এতদিন ছিল দৃষ্টির আড়ালে। টাংগুয়ার হাওর অববাহিকার পরিবেশগত পরিবর্তনের অবস্থা, ইকোসিস্টেম পরিসেবা, জলজ জীববৈচিত্র এবং নির্ভরশীল জীবিকার উপর এর পরবর্তী প্রভাবগুলি ভালোভাবে অধ্যয়ন করা হয়নি, এটি এখনও প্রায় অনাবিষ্কৃত এবং সঠিকভাবে পরিচালিত করা যাচ্ছে না। তাই হাওরের বাস্তুতন্ত্রের সেবা, জলজ জীববৈচিত্র্য এবং এই অববাহিকায় আশ্রিত জনগোষ্ঠীর মানুষের জীবনের উপর পরিবেশগত পরিবর্তন, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রবণতা মূল্যায়নের জন্য এই গবেষণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর
২ বছর আগে
পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
২০২২ সালের জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে পাকিস্তান স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে। প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যার এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানিতে অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় আছে। বিধ্বংসী এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২ শতাধিক মানুষ মারা গেছে, ১০ লক্ষাধিক বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং প্রায় ২,২০০ মাইল রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত শিবিরে রয়েছে এবং আরও অনেকের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মতে পাকিস্তানের এই বন্যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এখনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সারা বিশ্বের কাছে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় সতর্ক সংকেত। পাকিস্তানের এই ভয়াবহ বন্যার নেপথ্যের কারণ নিয়ে আজকের নিবন্ধ।
পাকিস্তানে এই ভয়াবহ বন্যার কারণ
বৈশ্বিক জলবায়ুর সংকট সামগ্রিকভাবে প্রভাব ফেলেছে পাকিস্তানের বন্যায়। আশঙ্কাজনক প্রাণঘাতী অবস্থাকে ক্রমাগত ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দেয়ার পেছনে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয়গুলো যুগপৎ ভূমিকা রেখেছে।
অতিবৃষ্টি
বন্যার প্রধান কারণ হিসেবে সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়েছে পুরো শতাব্দিতে পাকিস্তানের রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাত। আট সপ্তাহের বিরতিহীন অতিবৃষ্টি দেশের বিশাল অংশকে পানির নিচে ফেলে দিয়েছে। জুন মাসের শুরু থেকেই সিন্ধু প্রদেশে বৃষ্টিপাত ছিলো সাধারণ গড়পড়তার চেয়ে নয় গুণ বেশি এবং সমগ্র পাকিস্তানে পাঁচ গুণ বেশি। এ যেন সারা দেশ জুড়ে দানবীয় মৌসুমী বৃষ্টির প্রলয় লীলা।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১২শ’ ছাড়িয়েছে
অত্যধিক তাপের দাবদাহ
বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধির মৌলিক কারণ হলো উষ্ণ বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকা। যে অতিবৃষ্টি বন্যার সৃষ্টি করছে তার পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দায়ী। এর আগে পাকিস্তানে প্রাণঘাতী বন্যা হয়েছিলো ২০১০ সালে। সেই সুপারফ্লাড-এর জন্য মুল কারণ ছিলো উত্তাপ বৃদ্ধি, যার ফলে সে বছর প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিল।
আর্কটিকের উষ্ণ মহাসাগরীয় বাতাসও এর সাথে জড়িত ছিল, কারণ এটি জলীয়বাষ্পকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে আকাশে ভাসমান বাতাস অত্যধিক গরম ও ভারী হয়ে যায়। এই জলীয়বাষ্পের বৃহত্তর গতিপথ পাকিস্তানে দীর্ঘায়িত বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষাপট তৈরি করে। আর এখন বৈশ্বিক উত্তাপ দক্ষিণ এশিয়ার বৃষ্টিকে আরও তীব্র এবং আরও অনিয়মিত করে তুলছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রতি ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধির ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ে ৫ শতাংশেরও বেশি।
বন উজাড়
সিন্ধু নদীতে মিশে যাওয়া কাবুল নদীতে বাঁধ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হয় পাহাড়ী ঢল। আর বন উজাড়ের কারণে এই ঢলের গতি আরো বেড়ে যায়। এতে অসহায় মানুষ নিরাপদ অবস্থানে যাওয়ারও সময় পায় না। তাই উচ্চ মৃত্যুর সংখ্যার জন্য আকস্মিক বন্যা ও নদীর বাঁধ ধ্বংসের পাশাপাশি বন উজাড়ও দায়ী। কিছু জায়গা এতটাই খাড়া ছিলো যে, ঢল কোন বাধা ছাড়াই দ্রুত প্রবাহিত হয়ে সমতল ভূমিতে আঘাত করেছে।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা ও বাতাসের তারতম্য
এল নিনো–সাউদার্ন অসিলেশন (ইএনএসও) জলবায়ুর এমন একটি সংকটপূর্ণ অবস্থা যেখানে ক্রান্তীয় পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে বায়ু এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার অনিয়মিত পরিবর্তন ঘটে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। সমুদ্রের তাপমাত্রার উষ্ণ পর্যায়কে এল নিনো এবং শীতল পর্যায়কে লা নিনা বলা হয়। ইএনএসও এখন লা নিনা পর্যায়ে রয়েছে ঠিক যেমনটি ছিলো ২০১০ সালে। লা নিনার অত্যন্ত দৃঢ় প্রভাব পাকিস্তানের সাধারণ মৌসুমী বৃষ্টিকে দানবীয় অতিবৃষ্টির রূপ দিয়েছে।
শেষাংশ
পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা শুধু দক্ষিণ এশিয়াই নয়; গোটা পৃথিবীবাসীর জন্য সাবধানবাণী। আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি প্রচন্ড তাপের দাবদাহ, দাবানল, মেরু অঞ্চলে ক্রমাগত বরফ গলতে থাকা এখন গোটা বিশ্বকে জলবায়ুর ব্যাপারে গ্রাউন্ড জিরোর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বর্ষা মৌসুমের শেষ ঘনিয়ে আসায় আগামী দিনে আর কোনো উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের আশা করছেন না। কিন্তু এটি সৌভাগ্যজনক কোন খবর নয়। আপাত দৃষ্টে এ বছর বেঁচে গেলেও পরের বছরে কি হবে, যেখানে দুর্যোগগুলো প্রতি বছর দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানছে! তাই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এখনি সময়।
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
২ বছর আগে