জলবায়ু পরিবর্তন
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতার বড় হুমকি: পরিবেশ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক অধিবেশনে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি জানান, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয়—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।
তিনি জানান, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ, সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরও সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে। বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণ-বাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
আরও পড়ুন: ভাগাড়সহ কোনো স্থানে ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
‘বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে,’ বলেন তিনি। তেলসমৃদ্ধ দেশের কৌশলগত বিরোধিতা, কিয়োটো চুক্তির ব্যর্থতা ও প্যারিস চুক্তির দুর্বল বাস্তবায়ন নিয়েও সমালোচনা করেন উপদেষ্টা।
বিশ্বের ৮০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে জি২০ দেশগুলো। অথচ বাংলাদেশ, জলবায়ু ঝুঁকিতে সপ্তম অবস্থানে থাকা একটি দেশ, সবচেয়ে বেশি ভুগছে।
তিনি জানান, ২০২৪ সাল ছিল এ যাবতকালের সবচেয়ে উষ্ণ বছর। সমুদ্রের উষ্ণতা ও হিমবাহ গলনের হার দ্বিগুণ হয়েছে। বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তা আমাদের মতো দেশের জন্য মৃত্যুদণ্ড। সব দেশ তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেও তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে—যা মানবজাতির জন্য সহনশীল মাত্রার অনেক বেশি।
১০ দিন আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ-নেপালের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ ও নেপাল।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার ও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ইস্যুতে বাংলাদেশ ও নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ সময় এ বছরের মে মাসে নেপালে আয়োজিত হতে চলা ‘সাগরমাথা সম্মেলনে’ যোগ দিতে পরিবেশ উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন চলমান থাকবে: পানি সম্পদ উপদেষ্টা
জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে বৈশ্বিক এই সংলাপে পর্বতসমৃদ্ধ দেশসহ বিশ্বনেতা, জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। এই সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও নেপালের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ভান্ডারি জলবায়ু ও পরিবেশগত ইস্যুতে বাংলাদেশ-নেপাল সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ এবং বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের অংশগ্রহণে তিন জাতির পরিবেশ-বিষয়ক একটি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন পরিবেশ উপদেষ্টা ও নেপালের রাষ্ট্রদূত।
২৮ দিন আগে
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের দুই জলবায়ু বিশেষজ্ঞ।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন ‘স্টেট অব দ্য গ্লোবাল ক্লাইমেট রিপোর্ট’ প্রকাশিত হলে বাংলাদেশের ঝুঁকি নিয়ে কথা বলেন তারা।
বিশ্ব হিমবাহ দিবস (২১ মার্চ), বিশ্ব পানি দিবস (২২ মার্চ) ও বিশ্ব আবহাওয়া দিবসকে (২৩ মার্চ) সামনে রেখে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ডব্লিউএমও।
ডব্লিউএমওয়ের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালকে বিশ্বের বিগত ১৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। গত বছর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পযুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুরুশকুল জলবায়ু উদ্বাস্তু পুর্নবাসন প্রকল্প পরিদর্শনে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
ডব্লিউএমওয়ের মতে, চরম আবহাওয়াজনিত কারণে ২০২৪ সালটি ছিল বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগে রেকর্ড ক্ষয়ক্ষতির বছর। অতি গরম ছাড়াও ঘুর্ণিঝড়, টাইফুনসহ নানা কারণে গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে ২০২৪ সালে।
প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ও জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. আতিক রহমান ও আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ পরিবেশের ক্ষতি এমন মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে, যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। বিশেষত বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
২০২৩-২৪ সালের চরম জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে অভিমত দেন তারা। এ কারণে ক্ষতি ঠেকানো, জনগণ ও পরিবেশ রক্ষার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর জলবায়ু নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তারা।
জলবায়ু বিজ্ঞানী ড. আতিক রহমান বলেন, ‘জলবায়ুর কম ক্ষতি করেও বাংলাদেশ বেশি ভুক্তভোগী, আবার বৈশ্বিক ক্ষতিপূরণও পাচ্ছে না। ফলে নিজের জনগণকে রক্ষায় নিজস্ব জলবায়ু কৌশল নীতি থাকতে হবে। বিশেষ করে দূষিত জ্বালানির পরিবর্তে পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে কিভাবে যাওয়া যায় সে পথ খুঁজতে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশে জলবায়ু ন্যায়বিচার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে জরুরি বনায়ন, পানির উৎসগুলো সংরক্ষণ এবং কার্বণ নিঃসরণ কমানো দরকার।’
বিশেষত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দেন তিনি। এজন্য দ্রুত সমন্বিত জাতীয় নীতিমালা গ্রহণ করার আহ্বান জানান এই আবহাওয়াবিদ। ডব্লিউএমওয়ের প্রতিবেদনে বিশ্বের জনগণ ও অর্থনীতির জন্য সস্তা, পরিচ্ছন্ন নবায়নযোগ্য শক্তির সুযোগের বিকাশ ঘটানোর উপদেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করে।
২০২৩-২৪ সালের রেকর্ড তাপমাত্রার মূল কারণ হিসেবে ক্রমবর্ধমান গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন, সৌর চক্রের পরিবর্তন, একটি বিশাল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও শীতলকারী অ্যারোসোলের পরিমাণ হ্রাসসহ কয়েকটি অন্যান্য কারণ এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে ডব্লিউএমওয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২৯ দিন আগে
বুধবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে তিলত্তমা শহর ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে।
বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে একিউআই স্কোর ১৯২ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
এ সময় একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকায় ঢাকার বায়ূকে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বায়ুদূষণে আবারও শীর্ষে উঠে এলো ঢাকা
একিউআই সূচক অনুযায়ী, ভারতের দিল্লি, মুম্বাই ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ২৪৮, ১৮৪ ও ১৭৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বায়ুদূষণে যে স্বাস্থ্যসমস্যা হতে পারে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি অকালমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেই তালিকায় দ্বিতীয় হচ্ছে বায়ুদূষণ। আর প্রথম হচ্ছে রক্তচাপ।
স্বল্প-সময়ের জন্য বায়ুদূষণের কবলে পড়লে অ্যাজমা হতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকও হতে পারে। বিশেষ করে যেসব বয়স্কদের আগে থেকেই চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এমন ঝুঁকি বেশি। আর দীর্ঘমেয়াদে বায়ুদূষণে থাকলে হার্ট ও ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেওয়ার শঙ্কা আছে। যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বায়ুদূষণের কারণে হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকার বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কমবয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জুন কুনিজি বলেন, বায়ুদূষণে শিশুদের বৃদ্ধি কমে যায়, ফুসফুসে ক্ষতি করে এবং মানসিক দক্ষতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিটি শ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা বহুশিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৩৬ দিন আগে
দেশে জলবায়ু ন্যায়বিচার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার
জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ সংকট মোকাবিলা, নারীর অধিকার নিশ্চিতসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত একশনএইড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আশ্বাস দেন অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দূত ক্রিস্টিন টিলি। আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল এবং একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির।
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ সবার একাগ্র প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে ক্রিস্টিন টিলি বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা পাবে যখন জলবায়ু পরিবর্তনে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কথা আমরা তুলে আনতে পারব। এজন্য প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের লড়াইয়ের কথা (আমরা) শুনতে চাই; তাদের সেভাবে সহযোগিতা করতে চাই।’
‘এ লড়াইয়ের যাত্রায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে একশনএইড বাংলাদেশ দেশের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা তাদের সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় সঙ্গী হতে পেরে আনন্দিত। আশা করছি, জলবায়ু ন্যায়বিচার, নারী অধিকার নিশ্চিতসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব।’
আরও পড়ুন: পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
নারী ও তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের কথা বৈশ্বিক পর্যায়ে উঠে আসবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল।
তার কথায়, ‘অস্ট্রেলিয়া ও একশনএইড বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা দুপক্ষই জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য (আমরা) কাজ করতে চাই। বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ কমিউনিটির পাশে থাকতে চাই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, নারী ও তরুণ কমিউনিটির জীবন-জীবিকার মানোয়ন্নন ও নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করতে চাই। তাদের কণ্ঠই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘১৯৮২ সালে ভোলায় জলবায়ু বিপর্যয়ের মোকাবিলার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে একশনএইড বাংলাদেশ। জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এই লড়াই অব্যাহত রয়েছে। আমরা লক্ষ করি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে দেশের নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্বে তাদের জীবনমান উন্নয়নে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব বলে আমরা আশা রাখি।’
বৈঠকের একপর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত সম্মুখ সারির কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন ক্রিস্টিন টিলি। এ সময় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার দুলালী বেগম এবং শ্যামনগরের রেক্সোনা খাতুন জলবায়ু বিপর্যয়কালে কাটানো দুর্ভোগ আর মোকাবিলার কথা তার কাছে তুলে ধরেন।
এ সময় জলবায়ু নিয়ে কাজ করা তরুণদের প্রতিনিধি রায়হান নুরনবীসহ বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান কমিশন ও একশনএইড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৫৫ দিন আগে
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ১৬তম
সাপ্তাহিক কর্মদিবসের শেষ দিন ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষোলোতম অবস্থানে নেমে এসেছে শহরটি, গতকাল ছিল ষষ্ঠ।
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে বায়ুমান সূচকের (একিউআই) স্কোর ১৪৮ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় দুই অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে এই তিলোত্তমা নগর।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর যথাক্রমে ৩২৬, ২৫৪ ও ২৩৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বুধবারও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: 'অস্বাস্থ্যকর' বায়ুমান নিয়ে সপ্তম স্থানে ঢাকা
৬৩ দিন আগে
দেশের পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
চট্টগ্রামসহ সারা দেশের পাহাড় ও টিলা কাটা বন্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ লক্ষ্যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বনের ম্যাপিং করা হচ্ছে এবং পাহাড় কাটা বন্ধে নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ এই অপরাধে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘ইটভাটা, শব্দদূষণ এবং পলিথিন শপিং ব্যাগ বন্ধে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।’
এ বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। রিজওয়ানা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারি দপ্তরগুলোর সমন্বয় এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
তিনি বন উজাড়রোধ, পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জোর দেন।
আরও পড়ুন: তিন সংকট মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চান পরিবেশ উপদেষ্টা
সভায় চট্টগ্রামের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। পরিবেশ উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং মাঠপর্যায়ে কাজের অগ্রগতি তদারকির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দীন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ. কে. এম. তাহমিদুল ইসলামসহ চট্টগ্রাম বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএফআরআই, বিএফআইডিসি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৮৯ দিন আগে
কৃষি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কৃষি খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
এজন্য কৃষি, পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিএআরএফের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
খরা, অতিবৃষ্টি, লবণাক্ততা ও বন্যায় কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে গবেষণা ও প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, কৃষি উৎপাদন টেকসই রাখতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হবে। এছাড়া নিরাপদ ও অরগানিক খাদ্য উৎপাদনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
এজন্য নিরাপদ খাদ্যের মেলা আয়োজন জরুরি, একইসঙ্গে কীটনাশক ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে বলে জানান রিজওয়ানা হাসান।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে বৈঠকটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। প্রধান আলোচক এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কৃষিবিদ ড. আলী আফজাল।
কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। তারা টেকসই কৃষি উৎপাদন, জলবায়ু সহনশীল ফসল এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কৃষি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, নীতিনির্ধারক ও সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: পানি-ভূমি, খাদ্য ও পরিবেশের আইনি স্বীকৃতি দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
১১৯ দিন আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টা সফল করতে নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর এপ্রিল পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্ব বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করার কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কর্মসম্পাদনে সফলতা বিবেচনা করে যোগ্য কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা, অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান সাবের হোসেন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতার হার পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ভালো করতে হবে।
সভায় আরও ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, প্রকল্প পরিচালক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৩২৬ দিন আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়ন জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সারাদেশে সবুজায়ন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী
তিনি বলেন, বিশেষ করে শহরে বাড়ির ছাদসহ অন্যান্য স্থানে কিভাবে গাছ লাগানো যায়, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
সোমবার(২০ মে) মন্ত্রণালয়ের ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২২ ও ২০২৩’ পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্তকরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বৃক্ষরোপণ অভিযান জোরদারের অংশ হিসেবে বিলুপ্তপ্রায় বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সহব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে বন ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। ফলে বন ও বনভূমি অনেক বেশি টেকসই হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বনভূমিতে ব্যাপকভাবে বনায়ন করে বনের আচ্ছাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বনভূমি উজাড় রোধে জবরদখলকৃত বনভূমি চিহ্নিত করার পর তা উদ্ধার করা হচ্ছে এবং বনায়ন করা হচ্ছে।
সাবের চৌধুরী বলেন, বন ও বনভূমি রক্ষায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বন ও বনভূমির ডিজিটাল বাউন্ডারি ম্যাপিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে বনভূমি জবরদখল চিহ্নিত করা সহজ হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, জাতীয় কমিটির সদস্য আরমা দত্ত, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানমসহ কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৩৩২ দিন আগে