জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে উৎসব মুখর পরিবেশে জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশ গ্রহণে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উদযাপন করা হয়েছে।
মিশনটিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে মিলনায়তনকে আবহমান বাঙালির সংস্কৃতির নানা উপাদানে সাজিয়ে তোলা হয়। ঢাক-ঢোল-একতারা, পালতোলা নৌকা, ডালা-কুলা, তালপাতার পাখা, নকশী কাঁথা, মাটির পুতুল, মাটির থালা-বাসন, কাঁচের চুড়ি, আলপনা ও নানা বর্ণের ব্যানার-ফ্যাস্টুন-বেলুনে বর্ণিল হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী মিশনগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধি, কনসাল জেনারেল, জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রী এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নববর্ষ বরণে দেশের সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব ‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতের স্ত্রী রুবি পারভিন। তিনি তার বক্তব্যে বিদেশি অতিথিদের সামনে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরবণ তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বাংলার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর আলোকপাত করেন, যেখানে সব ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে। এই চেতনা ও সম্প্রীতিই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অনুপ্রেরণা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নাচ, গান ও আবৃতির সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের শিল্পী ও স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদেরকে পিঠা-পুলি, নাড়ু, মুড়ি-মুড়কি, সাজ-বাতাসা, পায়েস, চটপটি, ফুচকা, মিষ্টিসহ নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বাঙ্গালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও রসনার এক অপূর্ব উপস্থাপন করা হয় এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছায়ানটের জমকালো পহেলা বৈশাখ উদযাপন