বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কমনরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মাক্সবাদী) জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নৈতিকভাবে আবারও কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে যদি এই সমস্যার আশু সমাধান না হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় এক গভীর সংকটে নিপতিত হবে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষক অধ্যাপক খবির উদ্দীন বলেন, ‘মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা জাবি উপাচার্যকে আর বিশ্বাস করি না, কিন্তু মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কথার ওপর আমরা আস্থা রাখতে চাই।’
এর আগে সাভারের অধচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলমান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা এখন তদন্তের ওপর আস্থা রাখছি। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না দেখলে আমরা আবার কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবো।’ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রমে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার কথা উল্লেখ করে, উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি একটি বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, বিগত চার মাস ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।