সম্প্রতি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সিইপিজেড ও গাজীপুরের লক্ষ্মীপুরা এলাকায় পানির বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১০ লাখ মানুষকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে জেটিআই ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ‘ওয়াশ’ কার্যক্রমের অধীনে পরিচালিত একটি বিশেষ প্রকল্প ‘সুজলা’।
প্রকল্পটি সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে পোশাক শ্রমিকদের আবাসস্থলে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের নিজস্ব অর্থায়নে পাঁচজন উদ্যোক্তার জন্য পাঁচটি ওয়াটার বুথ স্থাপন করে দেয়া হচ্ছে, যা দেখে উদ্যোক্তারা সরাসরি উপকৃত হবেন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে সক্ষম হবেন।
গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে ফ্লোওয়াটার সল্যুশন্স লিমিটেডের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘রেশমি ড্রিংকিং ওয়াটার’ নামে প্রথম ওয়াটার বুথটি স্থাপন করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন বুথটি উদ্বোধন করেন।
এছাড়া, গত ১৫ নভেম্বর ড্রিংকওয়েলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে লক্ষ্মীপুরা এলাকায় ‘শুদ্ধ ড্রিংকিং ওয়াটার’ নামে দ্বিতীয় ওয়াটার বুথ স্থাপন করা হয়। বুথটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাবেল আলী; সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান ও বিজিএমইএ হেলথ সেন্টারের চেয়ারম্যান হানিফুর রহমান লোটাস।
এ বুথটিতে এটিএম কার্ড সুবিধা রয়েছে। এ এলাকার পোশাক শ্রমিকরা কার্ড ব্যবহার করে নিজের এবং কমিউনিটির অন্য সদস্যদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে এবং প্রয়োজনে কার্ড রিচার্জ করে নিতে পারবেন।
দুটি বুথই প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি তৈরি করতে পারে। কর্মদিবসে ৮ কর্মঘণ্টার বিবেচনায় প্রতিদিন ৮ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করবে।
সুজলা প্রকল্পের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, একজন পোশাক শ্রমিকের দৈনিক দুই লিটার পানির প্রয়োজন হয়। এ হিসাব অনুযায়ী একটি স্বাভাবিক কর্মদিবসে প্রতিটা বুথ দৈনিক ৪ হাজার পোশাক শ্রমিকের প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করতে পারবে।
দুটি ওয়াটার বুথের সফল উদ্বোধনের পর সুজলা প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক ধাপে আরও একাধিক ওয়াটার বুথ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।