১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া এই সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেই সাথে তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দিবসটি পালনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো ব্যাজ ধারণ এবং বনানী কবরস্থানে চার নেতার কবরে ফাতেহা পাঠ।
শোকাবহ জেলহত্যা দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এরপর সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি জাতীয় নেতাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পন করেন শেখ হাসিনা।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।