চীন থেকে আসা এ মাস্কগুলো বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে এসময় বিমানবন্দরে ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালাং ও অন্যান্যরা উচ্চপদস্থ কমকতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার জ্যাক মা ফাউন্ডেশন এবং আলিবাবা ফাউন্ডেশন থেকে বাংলাদেশেকে অনুদান হিসেবে দেয়া প্রায় ৩০ হাজার করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট চীন থেকে ঢাকায় আসে।
এর আগে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশকে সহায়তা করার ঘোষণা দেন আলিবাবা গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান জ্যাক মা।
তিনি মাস্ক, টেস্টিং কিট, প্রতিরক্ষামূলক পোশাক, ভেন্টিলেটর এবং থার্মোমিটারসহ জরুরি বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এরইমধ্যে চীনের কুনমিং থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে ১০ হাজার টেস্টিং কিট, ১০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটারসহ চীন সরকারের চিকিৎসা সরঞ্জামের দ্বিতীয় চালানটি দেশে এসে পৌঁছেছে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চীন সর্বদা বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীন ও অন্যান্য দেশের সহায়তায় বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সফল হবে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীন জয়ী হতে পারলে বাংলাদেশও জয়ী হতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসী হও বাংলাদেশ। তুমিও জিতবে।’
স্থানীয় চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এরই মধ্যে বাংলাদেশের কিছু কোম্পানি পিপিই এবং মাস্ক তৈরি শুরু করেছে।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা যায়। গত দুদিনে নতুন করে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত কেউ শনাক্ত হয়নি বলে রবিবার নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এর ফলে, দেশে করোনায় মোট নিহতের সংখ্যা পাঁচ এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ রয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উৎসস্থল। বর্তমানে এই ভাইরাস বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৮৮০ জনে। নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪১ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৪ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন। যার মধ্যে ২৫ হাজার ২০৭ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।