নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এবার চলমান ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহর ও এর আশপাশের এলাকার পোশাককর্মী পরিবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ পোশাকশ্রমিক পরিবারকে ওএমএস কর্মসূচিতে যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবে তারা। ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতের শ্রমিকদেরও এই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাজার স্থিতিশীল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় সরকারের বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে এই সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সারা দেশে ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের জন্য ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ড. সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর সরকারের মনোযোগের ওপর আলোকপাত করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে, পাশাপাশি বেসরকারি খাতও সরবরাহ চেইনে অবদান রাখছে। এটি পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে দাম স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সক্রিয় বাজার মনিটরিংয়ের কারণে ইতোমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন আমদানি বা উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে খুচরা মূল্যের ব্যবধান কমানো জরুরি।
তবে ওএমএস কার্যক্রমে নতুন করে ১০ লাখ পরিবার যুক্ত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, ১ কোটি পরিবারের জন্য টিসিবি কার্ডের যে কার্যক্রম, তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর করতে পারেনি সরকার। তাই সেখান থেকেই এই ১০ লাখ পরিবারের জন্য সংস্থান করা হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের ডিওর ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ ঢাকার পাশের কারখানার পোশাকশ্রমিকদের মাঝে টিসিবির নির্ধারিত পণ্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।