রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টানা বর্ষণে নগরবাসীর জীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টা পর্যন্ত আগের ৬ ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ছাড়া আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘দেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।’
উত্তর ছত্তিশগড় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমি নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে উত্তর ছত্তিশগড় এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব উত্তর প্রদেশ এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে বিএমডি।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।