আখতারুজ্জামান রাজু ভাস্করের পাদদেশে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ছাত্রদের অনশন ভাঙতে রাজি করান। পরে তিনি পানি ও ফলের রস খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে ছাত্রদের অনশন ভেঙে দেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে প্রেমিকের সহযোগিতায় কলেজছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’
এর আগে সহপাঠীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের ফাঁসিসহ চার দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন ঢাবির চার ছাত্র। প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- দর্শন বিভাগের সিফাতুল ইসলাম, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সাইফুল ইসলাম রাসেল, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের মোস্তাফিজুর রহমান রাফিজ এবং ইতিহাস বিভাগের আব্দুর রহমান।
ন্যায় বিচার ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন শুরু করেন সিফাতুল ইসলাম। পরে মঙ্গলবার বিভিন্ন সময় তার সাথে আরও তিন ছাত্র প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
তারা ধর্ষণকারীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরি, দোষীদের শাস্তি এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ চার দফা দাবি উত্থাপন করেন।
উপাচার্য আখতারুজ্জামান ছাত্রদের বলেন, ‘তোমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলেও আমি তোমাদের পাশে থাকব। তোমরা আমার ছেলের মতো।’
এসময় ঢাবি প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, সহকারী প্রক্টর এবং কয়েকজন ডাকসু সদস্যও উপাচার্যের সাথে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাস থেকে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তার সহপাঠীরা জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরার পর তিনি সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ করেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওএসসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে উত্তাল রয়েছে ঢাবি ক্যাম্পাস। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।