সমাবেশে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলে শিক্ষার্থীদের ওপর কোটা সংস্কারকারীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
ছাত্রলীগ নেতাদের ভাষ্যমতে, অহিংস আন্দোলন করার দাবি করা আন্দোলনকারীরা লাঠি-রড নিয়ে সশস্ত্র ছিল।
ফুটেজ উদ্বৃত করে ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা হলের সামনের গেট ভাঙচুর করেছে। কোটা আন্দোলনে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বেশ কয়েকজন কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হয়েছেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে তারা অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীরা বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে এবং রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে গুজব ছড়ায় শিক্ষার্থীদের হলে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পরে বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে হলে ঢুকে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানো শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বলে দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, অনেকের মাথায় আঘাত রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'তারা কীভাবে তাণ্ডব চালিয়ে নিজেদের শান্তিপূর্ণ বলতে পারে?'
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ঘটনাটিকে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা উল্লেখ করে দাবি করেছেন, এটি ইসলামী ছাত্রশিবির ও সহযোগী শক্তির নির্দেশে হয়েছে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ইনান বলেন, 'তারা কীভাবে ক্যাম্পাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধকে উপেক্ষা করতে পারে এবং যুদ্ধাপরাধীদের মহিমান্বিত করতে পারে?
ছাত্রলীগ নেতারা আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন শিবির আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেও আন্দোলনকে 'হাইজ্যাক' করার বিরোধিতা করে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত