ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা বুধবার সকাল ১০টা থেকে পুরোপুরি চালু হয়েছে।
বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান খান।
সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে রোগীর ভিড় দেখা গেছে। যদিও ১ সেপ্টেম্বর কমপ্লিট শাটডাউনের পর সেটি স্বল্প পরিসরে চালু ছিল। তবে নিরাপত্তা জোরদার করায় জরুরি বিভাগ এবং বহির্বিভাগ পুরোদমে চালু করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক হারুনুর রশীদ বলেন 'আমাদের জরুরি বিভাগ পুরোপুরি চালু ছিল সব সময়। প্রথম দিন (২ সেপ্টেম্বর) স্বল্প পরিসরে এবং দ্বিতীয় দিন (৩ সেপ্টেম্বর) আরেকটু কম স্বল্প পরিসরে বহির্বিভাগ চালু ছিল।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের দাবিতে ঢামেকের চিকিৎসকদের নতুন কর্মসূচি
তবে আজ সকাল থেকে নিরাপত্তার ভিত্তিতে পুরোদমে বহির্বিভাগ চালু করা হয়েছে।
নিরাপত্তার জন্য আমরা ২৫ জন পুলিশ পেয়েছি। তবে আমাদের দাবি অনুযায়ী মোট ৪০ জন পুলিশ সদস্য হলে নিরাপত্তা আরও জোরদার হতো।
গত ১ সেপ্টেম্বর রাবেয়া আক্তার নামের এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় রোগীদের হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ওই ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন 'রোগীর স্বজনরা ভুল বুঝে আমাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে ব্যাপারটা মিউচ্যুয়াল করে ফেলেছি। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আর কোনো ঝামেলা নেই। আমাদের চিকিৎসকদের কোনো দোষ ছিল না।'
গত ৩১ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হলে চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল চত্বরে তিনজনকে লাঞ্ছিত করেন। এর ফলে চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিরাপত্তা এবং চিকিৎসকদের ওপর নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসের পর ১ সেপ্টেম্বর সারা দেশের চিকিৎসা সেবা 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা।
এরপরই দু'জনকে গ্রেপ্তার করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় হাসপাতালগুলোতে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি