তিনি বলেন, ‘রেলওয়ে একটি বড় প্রতিষ্ঠান। এর অনেক সম্পত্তি অবৈধ দখল হয়ে আছে। কাজেই আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অবৈধ দখলে থাকা রেলওয়ের সম্পত্তি ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।’
চট্টগ্রামে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মাঠে আয়োজিত রেলওয়ে পরিবার সুহৃদ সংসদ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বৃটিশ আমলে রেলে লোকবল ছিল ৬৮ হাজার কিন্তু বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২৭ হাজারে। ১০৪টি স্টেশন বন্ধ হয়ে আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলেছেন। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে দিয়েছেন। উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে বর্তমানে রেলে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
রেল একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে স্কুল-কলেজসহ নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে।
‘বিভিন্ন দপ্তরের সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে আমরা পূর্ণভাবে রেলের উন্নয়নে কাজ করতে পারবো,’ যোগ করেন তিনি।
রেলওয়ে সুহৃদ পরিবারকে তিনি আগামী দিনের একটা বড় সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, রেলের উন্নয়নে সংগঠন অনেক বড় অবদান রাখতে পারবে বলে আমি আশা করছি।
ভবিষ্যতে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছেলেমেয়ে সংগঠনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দেশ সেবার কাজে নিয়োজিত হবেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সাবেক সংসদ সদস্য মাহফুজুল হক চৌধুরির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক মো. নাসির উদ্দিনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রেলের সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।