চলতি বছরে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হ্রাসের পর হঠাৎ করে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে দীর্ঘ প্রায় নয় মাস পর আজ ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোনো রোগী ভর্তি না হলেও রাজধানীতে ২৬ জনসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ২৯ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছর মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ প্রবল আকার ধারণ করায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সারাদেশে মাত্রাতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হয় স্বাস্থ্য খাতকে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীতে ঘিঁজঘিঁজ করতে থাকে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ২০১৯ সালে ২৬৬টি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুর প্রতিবেদনের মধ্যে ২৬৩টি ঘটনা পর্যালোচনা করে ১৬৪ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করে।
গত বছর সারাদেশে এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৩৭ জন বাড়ি ফেরেন।
চলতি বছরের শুরু থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সর্বমোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৫২। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১২৩ জন।
মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাল ফ্লু’র মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গুর প্রভাবে সাধারণত প্রচণ্ড জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়িসহ মারাত্মক কিছু লক্ষণ দেখা দেয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউএইচও) বলেছে, সাম্প্রতিক দশকে বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন মানুষ এ জ্বরে আক্রান্ত হয়।
সংস্থাটির মতে, ডেঙ্গুর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার এক শতাংশেরও নিচে নেমে আসে।