র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের পরিচালক (আইনি ও গণমাধ্যম শাখা) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সোমবার জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের বিশেষ বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া র্যাবের হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রাজধানীর বনানী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মিডিয়া পরিচালক এ মন্তব্য করেন।
কমান্ডার মঈন বলেন, র্যাবের টহল অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আমরা নিয়মিত আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ৩২ হাজার ৭০৪টি পূজামণ্ডপে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে প্রায় ৪ হাজার র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া কোনো স্বার্থান্বেষী মহল বা বিদ্বেষপূর্ণ চক্র যেন এই উৎসবকে বানচাল করতে না পারে সেজন্য প্রতি রাতে এলিট ফোর্সের ৩০০টি টিম টহল দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
কমান্ডার আল মঈন আরও বলেন, একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়। স্বার্থান্বেষী মহলে ষড়যন্ত্রকারী সকল দুর্বৃত্তদের ধরতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে র্যাবের মিডিয়া পরিচালক বলেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের নজরদারি করা হচ্ছে। এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে যারা গুজব সৃষ্টি করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং এসব গুজব ছড়িয়ে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করতে র্যাব কাজ করছে বলে জানান তিনি।
কমান্ডার মঈন আরও বলেন, তারা সারাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতীয় পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করছি। তারা যখন যা প্রয়োজন মনে করে তখন তারা আমাদের জানায়। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করা হচ্ছে।’