বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৩টি নমুনা। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় লাখ ৬০ হাজার ৪৪৪টি।
দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১. ০৭ শতাংশ। সেই সাথে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৫৮২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৮ এবং নারী ৯ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৪ জন এবং বাড়িতে তিনজন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২০৩১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৬ জন। সুস্থতার হার ৪০.৪৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯১১ জনে।
এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৯১ জনে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৬ এবং ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৮ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
করোনায় ব্রাজিলে মৃত্যু হয়েছে ৫২ হাজার ৬৪৫ জনের এবং রাশিয়ায় মারা গেছেন ৮ হাজার ৩৪৯ জন।
রাশিয়ার পর সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ এবং মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ২১৭ জনের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।