কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থায় দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে।
সোমবার ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে যা চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। ভর্তি আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে অফেরতযোগ্য ১ হাজার ২০০ টাকা।
দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ৭১৮টি আসনের বিপরীতে এবারের কৃষি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবছর আসন সংখ্যা বেড়েছে ১৭০টি।
আরও পড়ুন: ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কাল
আবেদনকারীকে ২০১৯/২০২০/২০২১ সালে এসএসসি/সমমান এবং এবং ২০২২/২০২৩ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটির চতুর্থ বিষয় ছাড়া ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট জিপিএ ৮ দশমিক ৫ থাকতে হবে। ২০২২ সালের এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
২০ জুলাই শনিবার দেশের ৮টি কেন্দ্র ও একাধিক উপকেন্দ্রে একযোগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২০২৪ এর কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।
লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে ইউএনবি প্রতিনিধিকে বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা সুবিধা ও অসুবিধা উভয়েরই সম্মুখীন হচ্ছে। একসঙ্গে সব কয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে হয় না। এতে তাদের সময়, অর্থ ও পরিশ্রম অনেকাংশেই কমে যায়।
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার অসুবিধা সম্পর্কে এ গবেষক বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসার পর দেখা গেছে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হওয়ায় ক্লাসও দেরি করে শুরু হচ্ছে।
অধ্যাপক ড. সহিদুজ্জামান আরও বলেন, ‘২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা মোট জিপিএ ৭ হলেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারতো। জিপিএ ৮ দশমিক ৫ নির্ধারণ করায় অপেক্ষাকৃত কম জিপিএ ধারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি