গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাবির ওই ছাত্রী রাজধানীর লালবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে নুর, হাসান, নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকীকে অভিযুক্ত করা হয়।
ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী জানান, দাবি মানার আগ পর্যন্ত ঘটনাস্থল ছেড়ে যাবেন না। এজন্য অসুস্থ হলেও হাসপাতালে ভর্তি হতে অস্বীকার করেছেন।
‘আসামিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমি আমার অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো,’ বলেন তিনি।
গত শুক্রবার রাতে কয়েকজন সহপাঠী ও ছাত্রলীগের নারী কর্মীদের সাথে নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন শুরু করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক জেসমিন আক্তার রিফান বলেন, কোনো খাবার না খাওয়ায় তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন এবং ১১ বার বমি করায় তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে উঠছে।
যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা তার খোঁজ খবর রাখছি।’
প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত ছয়জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন ঢাবির ওই ছাত্রী।
এদিকে, অনশন কর্মসূচিতে থাকা ভূক্তভোগী ছাত্রীর সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
গত শুক্রবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে এ দুই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরাও পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।