যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বাংলাদেশের ৭২-এর সংবিধান-এর ওপর গবেষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এজন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা লন্ডন মিশনের বঙ্গবন্ধু লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারেন। যেখানে এবিষয়ে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক গ্রন্থ রয়েছে।
জাতীয় সংবিধান দিবস-২০২৩ উপলক্ষে শনিবার (৪ নভেম্বর) লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ হাইকমিশন্স কমিটি টু দ্য কন্সটিটিউশন: সার্ভিস টু দ্য ডায়াসপোরা’- শীর্ষক এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে সাইদা মুনা তাসনিম এসব কথা বলেন।
এসময় হাইকমিশনার ৪ নভেম্বরকে জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এর ফলে ৭২-এর সংবিধান সম্পর্কে ভবিষ্যত প্রজন্ম আরও বেশি করে জানতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে জাতির পিতা বাংলাদেশের সংবিধান উপহার দেন; যা তার চারটি মৌলিক আদর্শের ভিত্তিতে প্রণীত। এই সংবিধান পৃথিবীর সুলিখিত সংবিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম।’
সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘জনগণের কল্যাণ ও সেবা সুনিশ্চিত করা সংবিধানের অন্যতম বিধান যার আলোকে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় লন্ডন মিশন সুশীল সেবক হিসেবে প্রবাসী ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের কন্স্যুলার ও কল্যাণমূলক সেবাসহ সবধরনের প্রয়োজনীয় সেবাদানে সব সময় নিবেদিত রয়েছে।’
এ প্রেক্ষিতে তিনি বিগত পাঁচ বছরে লন্ডন মিশনে সেবার মান আরও উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।
হাইকমিশনার জানান, গত বছর লন্ডন মিশন থেকে ৭৫ হাজার কন্স্যুলার সেবাদান করা হয়েছে। যার মধ্যে এনভিআর ছিল ৫৪ হাজার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ১১ অক্টোবর লন্ডন মিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। খুব শিগগিরই জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান কার্যক্রমও চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আলোচক ছিলেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ ও মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গাউস সুলতান।
সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, বাংলাদেশে ও বিদেশে একটি চক্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্থিতিশীল উন্নয়ন, সুদৃঢ় গণতন্ত্র ও শান্তি ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি এই ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা প্রতিরোধে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদেরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
দেওয়ান গাউস সুলতান ১৯৭২-এর সংবিধান প্রণয়নের পটভূমি এবং এই সংবিধানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার ভিত্তিই হচ্ছে ১৯৭২-এর সংবিধান। যা সুরক্ষা করা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য ও দায়িত্ব।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করা হয়।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।